কেবল খুন নয়, অভিযোগ ধর্ষণেরও। প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডে উঠল বিস্ফোরক দাবি। জবাব দিতে হবে যোগী-মোদিকে, হুঁশিয়ারি তৃণমূলের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও হাজিরা দিলেন না অনুব্রত। ফের এড়িয়ে গেলেন সিবিআই তলব। অসুস্থতার কথা জানিয়ে পাঠালেন চিঠি। দেশে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। দিল্লির পর মহারাষ্ট্রেও লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ। বুস্টার ডোজে জোর দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- জাহাঙ্গিরপুরীতে ঢুকতে বাধা তৃণমূলের প্রতিনিধিদের, রিপোর্ট মমতাকে
বিস্তারিত খবর:
1. প্রয়াগরাজ ‘গণহত্যা’র ঘটনাকে হাতিয়ার করে যোগীর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব তৃণমূল। এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তাদের অভিযোগ, শুধু পুড়িয়ে মারা নয়, মারার আগে মহিলাদের ধর্ষণও করে দুষ্কৃতীরা। মৃতদের পরিবারের সদস্যরাই তাদের এ কথা জানিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের।
রবিবার দুপুরেই প্রয়াগরাজ পৌঁছায় তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। যার নেতৃত্বে ছিলেন দোলা সেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন মমতা ঠাকুর, সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মান্ডি, ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। এঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলেও। প্রয়াগরাজে গিয়ে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তাঁদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের। তৃণমূলের তরফে দোলা সেন অভিযোগ করেছেন, যোগী আদিত্যনাথ যতই বুলডোজার শাসন ব্যবস্থার কথা মুখে বলুক, আসলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সেই হাথরস, উন্নাও থেকে বারবার তার প্রমাণ মিলছে। প্রয়াগরাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীর কাছেই। তাই এই ঘটনার দায় যোগী-মোদি দু’জনকেই নিতে হবে।
2. গরু পাচার মামলায় শনিবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও সিবিআই তলব এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা। অসুস্থতার কারণেই এদিন হাজিরা দিতে পারবেন না অনুব্রত, এই মর্মে সিবিআইকে চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে সিবিআই চাইলে তাঁর চিনার পার্কের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, অনুব্রতর তরফে জানানো হয়েছে এ কথাও। অনুব্রতর জন্য ইতিমধ্যেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে তাদের কোনও প্রতিনিধি অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। কিন্তু কলকাতায় আসার পথে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। টানা ১৭ দিন চিকিৎসার পর শুক্রবার ছাড়া পেতেই ফের সিবিআই তলব করে তাঁকে। কিন্তু ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও নিজাম প্যালেসে দেখা যায়নি অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তাঁর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে ই-মেল মারফত সিবিআইকে জানান অনুব্রত নিজেই। চেয়ে নেন চার সপ্তাহ সময়। সেইমতোই এদিনও সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন না বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। যদিও বিরোধীদের দাবি, অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সুকৌশলে হাজিরা এড়াচ্ছেন অনুব্রত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।