ছোট্ট একটি ভাইরাস যে মানুষকে কীভাবে তুর্কিনাচন নাচাতে পারে, গত দুই বছরে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে সকলে। আর সেইজন্যই, এই বিশেষ ভাইরাসটিকে কীভাবে রোখা যায়, তার নতুন নতুন পথ এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি সেই ক্ষেত্রেই নয়া দিশা দেখালেন এক ব্যক্তি। আবিষ্কার করলেন করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করার এক যন্ত্র। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আপাতত কড়া বিধিনিষেধের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে দেশ। কিন্তু স্বস্তি মেলেনি পুরোপুরি। বরং এখনও আশঙ্কা জিইয়ে রেখেছে বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি। বারবার রূপ বদলে নয়া অবতারে হানা দিচ্ছে করোনা। আর সেই কারণেই এই ভয়ংকর ভাইরাসটিকে কীভাবে নির্মূল করা যায়, তার নতুন নতুন পথ এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সম্প্রতি সেই ক্ষেত্রেই অভিনব দিশা দেখালেন এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, এমন একটি যন্ত্র তিনি আবিষ্কার করেছেন, যা ভাইরাসকে শক্তিহীন করে দিতে সক্ষম। এই যন্ত্রের কার্যকারিতা ৯৯.৯ শতাংশ বলেই দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। আপাতত ওয়াকিবহাল মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই নয়া আবিষ্কার।
আরও শুনুন: শুধু পরিবেশেই নয়, রক্তেও বিষ ঢালছে মাইক্রোপ্লাস্টিক! হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
হায়দরাবাদের বাসিন্দা মান্দাজি নরসিমা চারিয়া নিজের মতো করেই গবেষণা চালিয়ে যান। নিজেকে ‘গ্রামীণ আবিষ্কারক’ বলেই পরিচয় দেন তিনি। এর আগেও নিজস্ব গবেষণার কারণেই খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। সেবার পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য ফিলামেন্ট ছাড়া আলোকে ফের জ্বালানোর ফর্মুলা আবিষ্কার করেছিলেন মান্দাজি। আর এবার করোনা ভাইরাসকে কাবু করার জন্য ইনস্টাশিল্ড নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি। এর জন্য ‘সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’ স্বীকৃত একটি প্রযুক্তিকেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি, যা ভাইরাসকে ক্ষয় করে। যে কোনও বন্ধ জায়গায় বায়ু এবং পরিপার্শ্বে থাকা ভাইরাসের ৯৯.৯ শতাংশকে অক্ষম করে দিতে পারবে তাঁর যন্ত্র, এমনটাই দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
এ কথা শুনলে মনে হতে পারে, এও তো স্যানিটাইজারেরই প্রকারভেদ। কিন্তু আদতে তা নয়। ইনস্টাশিল্ড একটি প্লাগ অ্যান্ড প্লে ডিভাইস। প্লাগ ইন করলে ওই যন্ত্রটি তীব্র গতি ও শক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রন উৎপন্ন করবে। করোনা ভাইরাসের ধনাত্মক প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হবে এই ঋণাত্মক শক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রন কণা। আর তার ফলেই ওই প্রোটিন সংক্রমণের শক্তি হারাবে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, একটি যন্ত্র একবারে ৫০০০ বর্গফুট এলাকাকে এভাবে ভাইরাসমুক্ত করতে পারে। আর তার জন্য সময় লাগবে বড়োজোর দু-ঘণ্টা।
আরও শুনুন: পেটে যন্ত্রণা, বমিতে জেরবার! করোনা নয় তো! নতুন উপসর্গে ক্রমশ বাড়ছে চিন্তা
মান্দাজি জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণের বাড়াবাড়ি শুরু হতেই এ নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেছিলেন তিনি। আর অবশেষে তিনি সফল হলেন তাঁর গবেষণায়। মানবকল্যাণের কাজে লাগবে তাঁর এই আবিষ্কার, এই ভেবেই খুশি হচ্ছেন মান্দাজি নরসিমা চারিয়া।