বিয়ে করতে নয়, ঘোড়ায় চড়ে ভোট দিতে গেলেন বিজেপি নেতা। এমনটা করলেই জিতবে দল, বিশ্বাস পদ্মনেতার। কে ঘটালেন এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোট দিতে গিয়েছেন বিজেপি নেতা। তার সঙ্গে গিয়েছেন আরও অনেকে। তবে যেভাবে তিনি বুথে গিয়েছেন তা অবাক করেছে সকলকে। কারণ, এই নেতা ভোট দিতে গিয়েছেন ঘোড়ায় চড়ে। আলাদা করে কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নয়, মনের বিশ্বাসেই এমনটা করেছেন তিনি।
ভোটে জিতুক পছন্দের দল। এমন আশা সকলেরই থাকে। প্রার্থী হলে তো কথাই নেই। নিজের জয় নিশ্চিত করতে যে কোনও মূল্য চোকাতে প্রস্তুত থাকেন অনেকে। তাতে নিজের লাভ তো বটেই, পাশাপাশি দলেরও পাল্লা ভারী। এক্ষেত্রেই দেখা যায় কেউ কেউ কুসংস্কার মেনে চলছেন। নির্দিষ্ট মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে বিশেষ রঙের পোশাক পরা, আচ্ছা আচ্ছা রাজনীতিবিদ সেসব মেনে চলেন। হরিয়ানার এই বিজেপি নেতাও এমনই সংস্কারে বিশ্বাসী। তবে তিনি কোনও মন্দিরে পুজো দিতে যাননি। বিশেষ রঙের পোশাকও পরেননি। স্রেফ ঘোড়ায় চড়ে ভোট দিতে গিয়েছেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ধোপদুরস্ত পোশাক পরে হাজির হয়েছেন বুথে। যাত্রার সঙ্গী করেছেন টগবগে এক বাদামী ঘোড়া। কথা বলছি হরিয়ানার বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল সম্পর্কে। এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনিই। হরিয়ানার নির্বাচনে সকাল সকাল ঘোড়ায় চড়েই ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ঘটনার ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল বাঁধে। অনেকেই মন্তব্য করেন, এইভাবে মানুষ বিয়ে করতে যায়, আর ইনি ভোট দিতে গিয়েছেন! যদিও এমন কটাক্ষ গায়ে মাখেননি পদ্ম শিবিরের নেতা। তাঁর কথায়, এইভাবে ভোট দিতে আসা শুভ বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।
আসলে, হরিয়ানার চলতি নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন নবীন জিন্দালের মা সাবিত্রী দেবী। ভোট দিয়ে, মায়ের জয় প্রার্থনা করেছেন নবীন। তবে সামগ্রিক ভাবে বিজেপিই জিতুক, এমনটাই আশা তাঁর। ঘোড়ায় চড়ে ভোট দিতে যাওয়াও সেই কারণেই। এর আগে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন নবীন। লোকসভা ভোটের আগে যোগ দেন বিজেপিতে। তারপর বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হিসেবে নিযুক্তও হন। তবে এবার রাজ্যের নির্বাচন। মূল লড়াই ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। ভোটে লড়ছেন ভিনেশ ফোগাট-সহ একাধিক হেভিওয়েট। সকলকে ছাপিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরুক বিজেপিই এই আশায় বুক বেঁধেছেন সমর্থকরা। আর সেই দলেই রয়েছেন নবীন জিন্দালের মতো বিজেপি নেতা।