স্রেফ সিনেমা নয়। হলে বসে দেখা যাবে ভোটের ফলও। চলতি নির্বাচনেই এমনটা হতে চলেছে। যা রীতিমতো অবাক করেছে সকলকে। কোন সিনেমাহলে দেখানো হবে ভোটের ফল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
লোকসভা নির্বাচন শেষের পথে। আগামী ৪ জুন ফল ঘোষণা। কার দখলে থাকবে দিল্লিবাড়ি, জানার আগ্রহ সকলের। আর সেই আগ্রহ মেটাতেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নাগপুরের এক সিনেমা হল। আগামী ৪ জুন বড় পর্দায় ভোটের ফল দেখানো হবে সেই হলে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল নেটপাড়ায়।
বিগত একমাস ধরে দেশজুড়ে ভোট চলেছে। মোট সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভোটদানের হার কমেছে বলেই দাবি উঠছে। কারণ হিসেবে গরমকেই ভিলেন করছেন অনেকে। যদিও কেউ কেউ এমনটাও মনে করছেন, ভোট কমার দায় স্রেফ গরমের নয়। আরও একাধিক কারণ রয়েছে। তবে ভোট যেমনই হোক, ফলাফল নিয়ে আগ্রহ সকলেরই। রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারণ মানুষ, সবার নজরে ৪ জুন। সেদিনই জানা যাবে আগামীদিনে মসনদে বসবেন কে! কমিশনের তরফেই ভোটের ফল ঘোষণা হয়। যা সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। একই খবর দেখাতে ব্যস্ত থাকে দেশের প্রায় সমস্ত মিডিয়া। সোশাল মিডিয়াতেও একইভাবে আসতে থাকে মুহূর্তের আপডেট। কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে ভোটের ফল না দেখে একেবারে বসে সবটা জানার সুযোগ করে দিচ্ছে নাগপুরের মুভিম্যাক্স থিয়েটার। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, আগামী ৪ জুন এই সিনেমাহলেই দেখানো হবে ভোটের ফল। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই শো হাউসফুল। অর্থাৎ সিনেমাহলে ভোটের ফল দেখতেই আগেভাগে বুকিং সেরে রেখেছেন অনেকে।
বিনামূল্যে অবশ্যই নয়। সিনেমা দেখার মতোই খরচ করতে হচ্ছে। ১৪৯ টাকার টিকিট কেটে দেখতে হবে ভোটের ফল। যদিও সিনেমার মতো ২-৩ ঘণ্টার শো নয়। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে দেখানো হবে ভোটের ফল। সকাল ৮ টায় শুরু হবে শো। কেউ চাইলে পুরো সময়টাই হলে বসে দেখতে পারেন। কোন রাজ্যে কোন দল এগিয়ে, সামগ্রিক ভাবে দেশের হাল কেমন সবই দেখানো হবে এইদিন। এমনিতে ঘরে বসেই ভোটের ফল দেখেন বেশিরভাগ ভোটার। মোবাইলেও ভরসা থাকেন অনেকেরই। কিন্তু সিনেমাহলে বসে ভোটের ফল দেখার কথা এর আগে একু ভাবেননি। এবার তেমনটাই সত্যি করতে চলেছে নাগপুরের এই সিনেমাহল। এই নিয়ে নেটদুনিয়াতেও যথেষ্টই হইচই পড়েছে। কেউ কেউ হল কর্তৃপক্ষের ব্যবসায়িক বুদ্ধির তারিফ করেছেন। কেউ কেউ আবার সিনেমা হলেই ঝগড়া বাঁধার আশঙ্কা করেছেন। কারণ হলে বিভিন্ন দলের সমর্থকরাই থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিজের দল জিতছে দেখে একজনের উচ্ছ্বাস হওয়া স্বাভাবিক। তাতে অন্য কেউ রেগে যেতেই পারে। সবমিলিয়ে বিষয়টা বেশ নতুনত্বের চোখেই দেখছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা।