দেশের দ্বাদশটি জ্যোতির্লিঙ্গের প্রতি অগাধ ভক্তি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। আর তারই অন্যতম নাসিকের ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দির। সম্প্রতি সেই মন্দিরেই জোর করে ঢুকে শিবলিঙ্গে চাদর চড়ানোর চেষ্টা করেছেন একদল মুসলিম যুবক, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
জোর করে মন্দিরে ঢুকে শিবলিঙ্গে চাদর চড়ানোর চেষ্টা করেছেন একদল মুসলিম যুবক। সম্প্রতি এমন অভিযোগেই সরগরম মহারাষ্ট্রের নাসিক শহর। ঘটনায় রীতিমতো বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভক্তরা। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে ব্রাহ্মণ মহাসভা।
আরও শুনুন: মহাদেবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ, কোন শিবক্ষেত্র দর্শনে কী বিশেষ ফল মেলে?
ঈশ্বরবিশ্বাসী হিন্দুরা মনে করেন, দেশের ১২টি মন্দিরের শিবলিঙ্গে স্বয়ং দেবাদিদেবের বাস। সেই মন্দিরগুলি জ্যোতির্লিঙ্গ বলে খ্যাত। বলাই বাহুল্য, এই মন্দিরগুলি নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে ভক্তদের মধ্যে। আর সেই কারণেই সেখানে ধর্মীয় বিধিবিধানও আরও বেশি মাত্রায় মেনে চলা হয়। নাসিকের এই ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দির তার মধ্যে অন্যতম। ভক্তদের বিশ্বাস, এই জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করলে কারও আর পুনর্জন্ম হয় না। তাই প্রতিদিন এই শিবলিঙ্গকে দর্শন করতে, মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের কড়া নিয়ম, কেবল হিন্দু ধর্মের মানুষেরাই মন্দিরে প্রবেশের অধিকার পাবেন। সেখানে মুসলিম যুবকদের প্রবেশের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভক্তরা।
আরও শুনুন: হিন্দু গড়ে শান্তিতেই আছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা! অযোধ্যায় হেলায় জিতলেন মুসলিম প্রার্থী
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ওই ঘটনার একটি ভিডিও। যেখানে পাঁচ-ছজন মুসলিম যুবককে দেখা যায়। মাজারে যে সবুজ রঙের চাদর চড়ানো হয়, সেই চাদর হাতে নিয়েই মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ওই যুবকেরা। দাবি করা হয়েছে, মন্দিরের শিবলিঙ্গে ওই চাদর চড়াতে চেয়েছিলেন তাঁরা। যদিও মন্দিরে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। তার আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ঘটনার জেরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভক্তরা। ওই যুবকদের উদ্দেশ্য ভাল না মন্দ, তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু হিন্দু মন্দিরে ইসলামি রীতি প্রয়োগের চেষ্টাকেই আদৌ ভাল চোখে দেখেননি ভক্তরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযোগের জেরে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নাসিক জুড়ে।