নিজের ধর্মপরিচয় গোপন করে হিন্দু যুবতীকে বিয়ে করেছিল মুসলিম ব্যক্তি। কিন্তু বিয়ের পরই ওই যুবতীকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি উঠেছে অস্বাভাবিক যৌনতার অভিযোগও। ‘লাভ জিহাদে’র দায়ে আপাতত যোগীরাজ্যে আটক ওই ব্যক্তি। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক।
‘লাভ জিহাদে’র অভিযোগে এবার যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে আটক ৩৯ বছরের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, নিজের আসল পরিচয় গোপন করেই হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছিল ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের পর জোর করে ধর্মান্তর করা, ধর্ষণ এবং অস্বাভাবিক যৌনতার মতো একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। যার জেরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ছিনহাট থানার পুলিশ। জালিয়াতির জন্য ৪২০ ধারা, ধর্ষণের অভিযোগে ৩৭৬ ধারা, অস্বাভাবিক যৌনতার জন্য ৩৭৭ ধারা, স্বেচ্ছায় আঘাত করার কারণে ৩২৩ ধারা, অপমান করার জন্য ৫০৪ সংখ্যক ধারা এবং ভীতি প্রদর্শনের কারণে ৫০৬ ধারা- এমন একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে, এমনটাই জানিয়েছেন ছিনহাট থানার ইনচার্জ তেজ বাহাদুর সিং। ১৯৮৬ সালের বেআইনি ধর্মান্তর প্রতিরোধ আইন অনুযায়ীও ধারা লাগু হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও শুনুন: মুণ্ডচ্ছেদ করতে হবে হজরত মহম্মদের অসম্মানকারীর, তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান
সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ফয়জল আহমেদ। গোমতী নগরের বিনয় খণ্ড এলাকার বাসিন্দা ফয়জল একটি জিম চালায়। সেখানেই ওই যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তার। ওই যুবতীর কাছে নিজেকে অথর্ব সিং বলে পরিচয় দিয়েছিল ফয়জল। কিছুদিন পর একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়েও সেরে ফেলে দুজনে। এই পর্যন্ত সন্দেহের কোনও অবকাশই ঘটেনি। কিন্তু বিয়ের পরেই যখন জোর করে ওই যুবতীকে ধর্মান্তরিত করা হয়, তখনই প্রকৃত সত্য সামনে আসে। কিন্তু ওই যুবতীকে মারধর করে ফয়জল রীতিমতো ভয় দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিবারকে কিছু জানালে কিংবা পুলিশের কাছে মুখ খুললে বড়সড় ক্ষতি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় ওই যুবতীকে। পুলিশের মতে, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং অস্বাভাবিক যৌনতায় অংশ নিতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন ওই যুবতী। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে আটক করল যোগীরাজ্যের পুলিশ।