জামনগর জমজমাট! ‘আপনারা না থাকলে কি এত ঘটা হত!’ কাদের কাছে ‘ঋণী’ আম্বানি?

মার্ক জুকারবার্গ থেকে বিল গেটস। এদিকে দীপিকা-রনবীর থেকে শুরু করে ধোনি। এমনকি একমঞ্চে তিন খান। বিগত কয়েকদিন ধরে এমনই সব ছবি ভিডিওতে ভরে উঠেছে সোশাল মিডিয়া। হবে নাই বা কেন! মুকেশপুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়ে বলে কথা। থুড়ি, বিয়ে নয় এ ছিল প্রি-ওয়েডিং বা প্রাক বিবাহ পর্ব।

আরও শুনুন: এক কাপ চায়ে ভারত-দর্শন বিল গেটসের, ‘বিল কত হল?’ প্রশ্ন ফুড ডেলিভারি সংস্থার

কিন্তু তাতেও আয়োজনের বহর দেখে চমকে উঠেছে নেটদুনিয়া। বিশ্বের প্রথম সারির ধনকুবেরের বাড়ির অনুষ্ঠান এমন হবে এতে হয়তো অবাক হওয়ার তেমন কিছু নেই! কিন্তু ভারতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানেও মার্কিন গায়িকা রিহানার কনসার্ট কিংবা একমঞ্চে অরিজিৎ-শ্রেয়ার পারফরম্যান্স, অনেকেই চট করে ভেবে উঠতে পারেন না। অথচ এমনটাই সম্ভব করে দেখিয়েছেন আম্বানিরা। দেশ বিদেশের হাজার হাজার অতিথিকে নিয়ে অনন্ত-রাধিকার প্রাক বিবাহের আসর বসেছিল গুজরাটের জামনগরে। খাওয়া-দাওয়া হৈ-হুল্লোড় নাচ-গান আর সেইসঙ্গে চোখ ধাঁধানো পোশাক আর গয়না। প্রতিটা অনুষ্ঠানই তাই অবাক করেছে নেটদুনিয়াকে। একইসঙ্গে চর্চায় উঠে এসেছে আম্বানি পরিবারের সংস্কৃতির কথাও। একদিকে যেমন বিদেশি গায়িকার কনসার্টে কোমর দোলানো, অন্যদিকে তেমনই গণেশ আরতি করতে দেখা গিয়েছে আম্বানি পরিবারের সদস্যদের। আর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলিউডের নামজাদা তারকারা। তবে এত কিছুর মাঝেও নিজের শিকড় ভোলেননি রিলায়েন্দ কর্তা মুকেশ। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে আবেগে ভেসে চোখের জল ফেলছেন তিনি। তা সে পুত্র অনন্তের কথা শুনেই হোক কিংবা পুত্রবধূ রাধিকাকে বিয়ের সাজে দেখে, মুকেশ যে এই অনুষ্ঠান নিয়ে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়েছেন তা একাধিকবার ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। শুধু তাই নয়, নিজের বক্তব্যেও সেই ছাপ স্পষ্ট করেছেন মুকেশ আম্বানি।

আরও শুনুন: স্বামী মিথ্যেবাদী! সন্দেহে রোজ লাই ডিটেক্টর টেস্ট করান ‘বিশ্বের সবচেয়ে হিংসুটে মহিলা’

তিন দিনের অনুষ্ঠানে রোজই সকাল বিকেল কিছু না কিছু হয়েছে। আর এমনভাবেই সাজানো হয়েছিল সমস্ত অনুষ্ঠান, যেন কোনওটার সঙ্গে কোনওটার তুলনাই চলে না। এরইমাঝে একদিনের অনুষ্ঠান ছিল শুধুমাত্র রিলেয়েন্সের কর্মীদের উদ্দেশে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার কর্মী। তাঁদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়েও আবেগে ভাসেন রিলায়েন্স কর্তা। বলেই দেন, এত আয়োজন এত ঘটা সব রিলায়েন্সের কর্মীদের জন্য সম্ভব হয়েছে। কর্মী নয়, নিজের পরিবারের অংশ বলেই তাঁদের সম্বোধন করেছেন আম্বানি। আগামীদিনে ওই কর্মীরাই সংস্থার ভবিষ্যৎ। সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রিলায়েন্স কর্তা। একইসুর শোনা গিয়েছে মুকেশ পত্নী নীতা আম্বানির গলাতেও। তিনিও নিজের বর্ধিত পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বারবার। আম্বানি পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানকে রিলায়েন্সের কর্মীরাও যেভাবে আপন করে নিয়েছেন তাতেই আপ্লুত নীতা। আর সেই কারনেও সংস্থার কর্মীদের জন্য আলাদাভাবে এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান করেছেন ধনকুবের আম্বানি।