নির্বাচনী প্রচার মানেই নিত্যনতুন চোখ টানার কৌশল। মধ্যপ্রদেশে আসন্ন নির্বাচনের আগে দেখা গেল তেমনই এক কাণ্ড। গাধার পিঠে চেপে মনোনয়ন জমা দিতে এসে পৌঁছলেন এক প্রার্থী। কিন্তু কেন এমনটা করেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে প্রচারের ধুমধাম, নানারকম ভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন নির্বাচনী প্রার্থীরা। কখনও তা চলতি উপায়েই, কখনও আবার অভিনব কোনও ভাবে আমজনতার থেকে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। ঠিক যেমনটা করেছেন এই নির্দল প্রার্থী। হ্যাঁ, মধ্যপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। তবে কোনও সাংবিধানিক দলের আওতায় নয়, নির্দল হয়েই ভোটে লড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন এই ব্যক্তি। তা এমন তো কত লোকই করে থাকেন, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে! কিন্তু এই ব্যক্তি সকলের চোখ টেনেছেন নিজের মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েই। কেউ হেঁটে যান, কেউ গাড়িতে, কেউ দলবল নিয়ে। অথচ এই ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছেন একটি বেঁটেখাটো গাধার পিঠে চেপে। পরনে গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবি, চোখে রোদচশমা আর গলায় একগোছা গাঁদাফুলের মালা- এই সাজেই বুরহানপুর জেলার নির্বাচনী কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্ক সিং ঠাকুর। যে শোভাযাত্রার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
আরও শুনুন: ২৬ বছর বয়সেই ২২ সন্তানের মা, শতপুত্রের জননী হতে চান মহিলা
কিন্তু কেন এহেন অভিনব বাহন বেছে নিয়েছিলেন এই প্রার্থী? তার উত্তর দিতে গিয়ে তিনি সাফ জানিয়েছেন, আসলে একই পরিবারের একের পর এক লোক যে দলের পদ অধিকার করে বসে থাকেন, সেই বিষয়েই তাঁর আপত্তি। তাঁর মনে হয় বংশপরম্পরায় রাজনৈতিক পদ অধিকার করে আমজনতাকে ঠকান ওই নেতারা। আর সেই ঠকে যাওয়ার প্রতীক হিসেবেই গাধাকে বেছে নিয়েছেন তিনি, এমনটাই জানান ওই নেতা। কারও নাম না করলেও, পরিবারগত রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসলে কি কংগ্রেসকেই একহাত নিয়েছেন ওই নেতা? এমনটাই প্রশ্ন সকলের। তার কোনও স্পষ্ট উত্তর যদিও মেলেনি। তবে মধ্যপ্রদেশের পর্যটন বিভাগের যে স্লোগান ‘এমপি আজব হ্যায়, সবসে গজব হ্যায়’- সেই স্লোগানকেই সত্যি করে দিয়েছেন এই ব্যক্তি, এমনটাই দাবি করছেন নেটিজেনদের একাংশ।