অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠা করা গিয়েছে রাম মন্দির। এইভাবেই নিজেদের কর্তব্য পালন করতে হবে ভারতকে। আর ভারত জেগে উঠলেই বাঁচবে গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি এমনটাই বললেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত।
গীতা বলে, বিশ্বকে রক্ষা করার জন্যেই যুগে যুগে ফিরে আসেন অবতারেরা। সম্প্রতি গীতাভক্তি অমৃত মহোৎসবে প্রায় সেই সুরেই ভারতকে জেগে ওঠার জন্য ডাক দিলেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। জানালেন, নিজের কর্তব্য পালনের জন্যই সজাগ হতে হবে ভারতকে। আর ভারত জাগলেই বাঁচবে গোটা বিশ্ব। রাম মন্দিরে রামলালার প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনেই ভারতকে তার কর্তব্য মনে করালেন সংঘপ্রধান।
আরও শুনুন: তাজমহলে পালিত হবে না শাহজাহানের মৃত্যুদিন, দাবি তুলে মামলা হিন্দু মহাসভার
ধর্মগুরু শ্রী গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজের ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজন করা হয়েছিল গীতাভক্তি অমৃত মহোৎসবের। তিনি শ্রীরাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কোশাধ্যক্ষও। সেই অনুষ্ঠানেই রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে ভবিষ্যৎ কর্তব্য সম্পর্কেও ভারতকে সচেতন করে দিলেন মোহন ভাগবত। সংঘপ্রধান মনে করেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে রামলালার ফেরা, এই সমগ্র ঘটনাটিই যথেষ্ট সাহসী কাজ। দীর্ঘ সংগ্রামের পর এই জয় হাসিল করা গিয়েছে। যদিও রামের ইচ্ছা এবং আশীর্বাদের দৌলতেই রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন ভাগবত, তবে এর নেপথ্যে ভক্তদের অধ্যবসায়কেও তিনি মান্যতা দিতে চান। আর এইভাবেই নিজেদের কর্তব্য পালন করে যেতে হবে দেশবাসীকে, আহ্বান সংঘপ্রধানের। তাঁর সতর্কবার্তা, ভারত যদি এ বিষয়ে সজাগ না হয়, যদি কর্তব্য পালনে সমর্থ না হতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত ধ্বংসের মুখোমুখি হবে গোটা বিশ্বই। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক কালেই নানা ঘটনায় সেই ভয়ংকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত মিলছে। এ নিয়ে কথা হচ্ছে নানা মহলেও। সুতরাং পৃথিবীর প্রয়োজনেই জেগে উঠতে হবে ভারতকে, সাফ মত সংঘপ্রধানের। অর্থাৎ, রাম মন্দিরকে যেভাবে হিন্দুত্বের পুনরভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী শিবির, ঘুরিয়ে সেই কথাকেই আরও একবার স্বীকৃতি দিলেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত।