কেবল নির্বাচনী প্রতীকে রক্ষা নেই। ভোট লড়তে নতুন নতুন হাতিয়ারকে রাজনীতির ময়দানে টেনে আনছেন নেতানেত্রীরা। দেখা যাচ্ছে, চাল থেকে কন্ডোম, সবই এখন নেমে পড়েছে রাজনীতির লড়াইয়ে। শুনে নেওয়া যাক।
পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশের মসনদে এবার বসবে কোন দল, সেদিকেই নজর সব রাজনৈতিক দলের। আর সেই ক্ষমতা দখলের জন্যেই একদিকে চলছে পারস্পরিক চাপানউতোর, অন্যদিকে নতুন নতুন হাতিয়ার আমদানি করে লড়াইয়ে শান দিচ্ছেন নেতানেত্রীরা। আপাতদৃষ্টিতে যা সাধারণ, রোজকার ব্যবহারের কোনও জিনিস, ভোটের বাজারে আক্ষরিক অর্থেই দর বাড়ছে তার। সোজা কথায়, সেইসব জিনিসকে অস্ত্র করেই রাজনীতির খোলা বাজারে দাম বাড়িয়ে নিতে চাইছে বিভিন্ন দল। সম্প্রতি যেমন দেখা গেল, কন্ডোম থেকে চাল, সবই আপাতত রাজনীতির লড়াইয়ে শরিক।
আরও শুনুন:
মেয়েদের অপমান করে কী প্রাপ্তি হয় নেতাদের? প্রশ্ন সোনা মহাপাত্রের অথবা দেশেরই
এর আগে কর্ণাটকের হেভিওয়েট নির্বাচনের আগে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল আমুল ও নন্দিনী এই দুই ব্র্যান্ডের দুধের লড়াই। এবারও দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণের আরেক রাজ্য কেরলে রাজনীতির খিদে মেটাচ্ছে চাল। হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই ভাতের লড়াইয়ে শামিল সে রাজ্যের বাম সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সম্প্রতি ত্রিশূরের কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারগুলিতে ভর্তুকি দেওয়া চাল পাঠিয়েছে মোদি সরকার, যার পোশাকি নাম ‘ভারত’। ১০ কিলো চালের প্যাকেটের দাম রাখা হয়েছে ২৯০ টাকা। আর এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বিজেপির সুরেশ গোপী। তবে থেমে নেই কেরলের রাজ্য সরকারও। পিনারাই বিজয়ন সরকারের পালটা চাল কে-রাইস। গোটা রাজ্যের সাড়ে নব্বই লক্ষ রেশন কার্ড গ্রহীতাকে ভর্তুকি মূল্যেই এই চাল দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। যেখানে কেন্দ্রের তুলনায় চালের দাম কিলো প্রতি অন্তত ২ টাকা কম রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। মোদি গ্যারান্টি না বিজয়নের কল্যাণমূলক রাজনীতি, জনতার ভোট কোনদিকে পড়বে সেটাই এখন দেখার।
আরও শুনুন: প্রধানমন্ত্রীর GYAN-এর পালটা বিরোধীর BAAP! ভোটের আগে কেন দাপাদাপি নয়া শব্দের?
এদিকে খিদে যেমন প্রয়োজনীয়, যৌনতাও তো কম জরুরি নয় আমজনতার জীবনে। সে কথা মাথায় রেখেই হয়তো, দক্ষিণের আরেক রাজ্যে ভোটের লড়াইয়ে মাথা বাড়িয়েছে কন্ডোম। নির্বাচনী প্রচারে গর্ভনিরোধককেই কাজ লাগানোর অভিযোগ উঠেছে অন্ধ্রপ্রদেশের দুই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। নিশানায় রাজ্যের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টি। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়ো এবং ছবি জানাচ্ছে, দুই দল দুই রঙের গর্ভনিরোধকের প্যাকেট ব্যবহার করছে। সেই প্যাকেটের উপর দলীয় প্রতীক এবং দলের নাম ছেপে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করা হচ্ছে। আবার কন্ডোম-রাজনীতি নিয়ে একে অন্যকে তোপ দাগতেও ছাড়েনি দুই দলই। সব মিলিয়ে চাল থেকে কন্ডোম, সবকিছু নিয়েই লোকসভার আগে ঝাঁজ বাড়ছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।