স্বাধীনতা সংগ্রামী বালগঙ্গাধর তিলক ও চন্দ্রশেখর আজাদের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতীক এই বিপ্লবীরা। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের প্রাক্কালে দেশের ঐতিহ্যের কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫তম বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২১ সালেই এক বছর ব্যাপী ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনের কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। দেশ জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদী চেতনা তুলে ধরাই ছিল এই পরিকল্পনার লক্ষ্য। সেই সূত্র ধরে বারবারই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা উঠে এসেছে। এবার স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক ও চন্দ্রশেখর আজাদের জন্মজয়ন্তীতে তাঁদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও শুনুন: ঘরে ঘরে উত্তোলিত হোক জাতীয় পতাকা, স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ পরিকল্পনা কেন্দ্রের
টুইটে মোদি লিখেছেন, “ভারতমাতার দুই মহান সন্তান লোকমান্য তিলক এবং চন্দ্রশেখর আজাদকে প্রণাম জানাই। সাহস ও দেশপ্রেমের প্রতীক এই মনীষীরা।” তিনি আরও বলেছেন, “লোকমান্য তিলকের ঐতিহ্যের মধ্যে চিরন্তন হয়ে রয়েছে গণেশ উৎসব। যা মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা জাগিয়ে তোলে।” একবারের মুম্বাই সফরে লোকমান্য সেবা সংঘেও তিনি গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মোদি। নিজের সেই সফরের ছবিও দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও, ‘মন কি বাত’-এর এক পর্বে এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন তিনি। সেই অংশটিও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: ৭ ঘণ্টায় ৭৫ বার গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, দেশকে ভালবেসেই বিশ্বরেকর্ড তরুণীর
মহারাষ্ট্রে স্বাধীনতা আন্দোলন গড়ে তোলার কাণ্ডারিদের মধ্যে অন্যতম বাল গঙ্গাধর তিলক। লোকমান্য তিলকও বলা হয় জাতীয় কংগ্রেসের এই জনপ্রিয় নেতাকে। এমনকি স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী তাঁকে আধুনিক ভারতের জনক বলে অভিহিত করেছিলেন। পরাধীন ভারতে দাঁড়িয়ে বাল গঙ্গাধর তিলক সোচ্চারে ঘোষণা করেছিলেন, ‘স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার আর আমি তা অর্জন করবই।” এদিকে চন্দ্রশেখর আজাদ জাতীয় কংগ্রেসের অহিংস নীতির পক্ষপাতী ছিলেন না, তিনি সরাসরি সশস্ত্র সংগ্রামে যোগ দেন। লালা লাজপত রাই-এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে কাকোরি ট্রেন ডাকাতিতেও অংশ নিয়েছিলেন ভগৎ সিং-এর সহযোগী চন্দ্রশেখর আজাদ। ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করেই দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। অহিংসাপন্থীই হোন কিংবা সশস্ত্র বিপ্লবী, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁদের কারও ভূমিকাই কম নয়। শনিবার এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তাই শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।