ফের নমাজ বিতর্ক। সেই উত্তরপ্রদেশেই। যোগীরাজ্যের খদ্দা স্টেশনে ট্রেনের কামরায় যাতায়াতের জায়গায় বসে নমাজ পড়ছিলেন কয়েকজন। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন জনৈক বিজেপি নেতা। কী তাঁর অভিযোগ? শুনে নিই।
যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের খদ্দা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল সত্যাগ্রহ এক্সপ্রেস। আর সেই অবসরেই চারজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী নমাজ পড়তে শুরু করেন। কোচের মধ্যে সরু জায়গায়, অর্থাৎ যেখান দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করেন, সেখানেই বসে তাঁরা প্রার্থনা শুরু করেন। আর এই ঘটনাতেই বেজায় চটেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দীপলাল ভারতী। পুরো ঘটনাটিকে তিনি ক্যামেরাবন্দি করেন। ট্রেনের মধ্যে কেন নমাজ পড়া হল, সে-প্রশ্ন তোলেন। তাতেও অবশ্য ক্ষান্ত হননি, এ বিষয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: মক্কায় আছেন স্বয়ং মক্কেশ্বর মহাদেব! পুরীর শঙ্করাচার্যের দাবিতে শুরু জোর চর্চা
গেরুয়া শিবিরের নেতার অভিযোগ, সত্যাগ্রহ এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচের মধ্যেই নমাজ পড়তে বসেছিলেন ওই চার জন ব্যক্তি। তাতে অন্যান্য যাত্রীদের যাতায়াতের যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছিল। তা ছাড়া অন্য দুজন ব্যক্তি যাতায়াতের পথের দু-প্রান্ত আটকে রেখেছিলেন। পাবলিক প্লেসে পথ আটকে এরকম ভাবে নমাজ কেন পড়া হবে, এটাই প্রশ্ন ক্ষুব্ধ ওই বিজেপি বিধায়কের। তাঁর দাবি এই কাজ একেবারেই ঠিক নয়। তবে শুধু নিজে সিদ্ধান্ত টেনেই তিনি ক্ষান্ত হননি। সাধারণ যাত্রীদের যে অসুবিধা হচ্ছিল, তা প্রমাণের জন্য তিনি একটি ভিডিও তোলেন। সেই ভিডিও দাখিল করে ভারতীয় রেলের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। এইভাবে যাত্রীদের অসুবিধা করে নমাজ পড়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আরজি জানান তিনি।
আরও শুনুন: ‘লক্ষ্মীপুজো না করেও কেন ধনী মুসলিমরা?’, প্রশ্ন তুলে বিপাকে বিজেপি বিধায়ক
উত্তরপ্রদেশে নমাজ বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। লাউডস্পিকারে আজান নিয়ে একাধিক বার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ধর্মীয় স্থানের বাইরে যাতে প্রার্থনার আওয়াজ না যায়, এমন ফরমানও দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি শপিং মলে কয়েকজন ব্যক্তির নমাজ পড়া নিয়েও বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। এবার সে বিতর্কের জল গড়াল ট্রেনের কামরাতেও। তবে নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে রেল এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়নি।