স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়নি, তবু অন্য নারীর সঙ্গে দিব্যি একত্রবাসে থাকছেন কোনও পুরুষ। সিনেমা সিরিয়ালে এমনটা তো আকছারই দেখা যায়। কিন্তু এই ঘটনাকে কি লিভ ইনের স্বীকৃতি দেওয়া যাবে? রায় জানাল হাই কোর্ট। এই ইস্যুতে কী মত আদালতের, শুনে নেওয়া যাক।
প্রথম বিয়েতে ডিভোর্স হয়নি। তবুও অন্য মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন কোনও ব্যক্তি। এমনকি দুজনে থাকতেও শুরু করেছেন একইসঙ্গে। ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক পরিসরে এ নিয়ে কথা চলতেই পারে। কিন্তু এহেন ঘটনাকে কী চোখে দেখছে দেশের আইন? আইনের হিসেবে কি এই সম্পর্ক লিভ ইনের স্বীকৃতি পাবে? সম্প্রতি সে প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট। ঠিক কী বলেছেন বিচারপতিরা? আসছি সে কথাতেই।
আরও শুনুন: বিয়ে ভাঙলেও নেই রেহাই! অন্য পুরুষের কাছে চড়া দামে বিক্রি স্ত্রী, অদ্ভুত প্রথা রাজস্থানে
আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক বদলায়। কোনও যুগলের সম্পর্কে ভাঙন ধরা তাই অস্বাভাবিক নয়। আর সম্পর্কে ভালো থাকতে না পারলে যদি কেউ সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান, তেমনটাও একেবারে অসঙ্গত নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেউ যদি একটি সম্পর্ক থেকে না বেরিয়েই অন্য কোনও সম্পর্কে আশ্রয় খোঁজেন, তাকে কী বলা যাবে? সে প্রসঙ্গে এবার হাই কোর্ট সাফ জানাল, প্রথম বিয়ে থেকে বিচ্ছেদ না নিয়ে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং একত্রযাপন, লিভ-ইন বা বিয়ের মতো কোনও সামাজিক অবস্থানের মধ্যে পড়ে না। উলটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ও ৪৯৫ ধারা অনুযায়ী তা ‘বাইগ্যামি’ বা দ্বিবিবাহের মতোই অপরাধ, এমনটাই মত আদালতের। অর্থাৎ, এক স্ত্রী থাকতে অন্য মহিলাকে বিয়ে করাকে যেমন বাইগ্যামি বলে ধরা হয়, তেমনই বিয়ে না করে দ্বিতীয় মহিলার সঙ্গে একত্রবাস করলেও তাকে একই তকমা দিতে চায় হাই কোর্ট।
আরও শুনুন: সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে রায় সুপ্রিম কোর্টের, সমপ্রেম ইস্যুতে কী বলছে ভারতীয় পুরাণ?
সম্প্রতি একটি মামলার প্রসঙ্গেই এহেন রায় জানিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক যুগল, যেখানে ওই ব্যক্তি শুধু বিবাহিতই নন, তাঁর একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির আইনি বিচ্ছেদও হয়নি। এদিকে মাস দুই আগে দ্বিতীয় মহিলার সঙ্গে তিনি একত্রবাস শুরু করেন। যা নিয়ে রীতিমতো আপত্তি উঠেছিল সেই মহিলার পরিবারের তরফে। এবার ব্যক্তির দুই সম্পর্কের কথা জেনেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালতও। আর সেই প্রসঙ্গেই বিয়ে ও পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টিও স্পষ্ট করেছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট।