মৃত বলে ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ‘কোভিড’। সংক্রমণের ভয়ে তড়িঘড়ি ‘সৎকার’ সেরেছিল পরিবার। অথচ সেই মৃত ব্যক্তিই দু-বছর পর জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন। কোথায় ঘটেছে এই অদ্ভুত কাণ্ড? আসুন শুনে নিই।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিছুদিন পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংক্রমণের ভয়ে তড়িঘড়ি তাঁর ‘দেহ’ সৎকারও করে ফেলে পরিবারের লোকজন। অথচ দু-বছর পর হঠাৎ জীবত অবস্থায় ফিরে এসেছেন তিনি। তাঁকে দেখে যারপরনায় অবাক সকলেই।
আরও শুনুন: বলের চেয়েও খুদে! গিনেস বুকে নাম তুলল বিশ্বের সবচেয়ে বেঁটে কুকুর
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। সেখানকার এক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কমলেশ পাতিদার। বছর ৩৫-র ওই ব্যক্তিকে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকেরা অন্তত এমনটাই জানিয়েছিলেন কমলেশের পরিবারকে। এরপর প্রায় ঢাকা দেওয়া একটি দেহ কমলেশের পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বলা হয় এটিই কমলেশের দেহ। যেহেতু করোনায় মৃত্যু হয়েছে, তাই সংক্রমণের ভয়ে তড়িঘড়ি সেই দেহটিকে সৎকারের পরামর্শ দেন তাঁরা। মৃতের পরিবারও তেমনটাই করে। এরপর কেটে গিয়েছে দু বছর। এতদিন সকলে এটাই জানতেন কমলেশ জীবীত নেই। কিন্তু সকলের সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে সম্প্রতি। কিছুদিন আগে জীবিত অবস্থায় নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন কমলেশ। প্রথমে তাঁকে দেখার পর রীতিমতো অবাক হন পরিবারের লোকজন। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিল না কমলেশ জীবিত। কিন্তু নিজের চোখকে অবিশ্বাস করার উপায় কোথায়।
আরও শুনুন: বয়স কোনও বাধাই নয়! সরকারি পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার ১০৮ বছরের মহিলার
ঘটনার খবর পুলিশের কানেও পৌঁছায়। এই অদ্ভুত কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। হাসপাতালের দেওয়া ওই মৃতদেহ আদৌ কমলেশের কী না, ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে খোঁজ করতে শুরু করেছে প্রশাসন। তবে এত কিছু যাকে কেন্দ্র করে, সেই কমলেশ কার্যত চুপই রয়েছেন। এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন বা ঠিক কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, সেসবের কিছুই বলছেন না তিনি। পরিবারের সদস্যরাও এ বিষয়ে তাঁকে কোনওরূপ চাপ দিতে নারাজ। তাঁদের কাছে কমলেশের অপ্রত্যাশিত ফিরে আসাই অনেক বড় পাওয়া। তাই পুলিশকে কার্যত অপেক্ষাই করতে হচ্ছে। কমলেশ যদি নিজের মুখে সব ঘটনা জানান তাহলেই সব সত্যি সামনে আসবে। এমনটাই দাবি পুলিশের।