রোজকার ঝামেলায় অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত পছন্দ ছিল না তাঁর স্ত্রী-র। তাই স্বামীর নামে অদ্ভুত রটনা ছড়িয়ে দেন তিনি। যেমন তেমন নয়, তাঁকে একেবারে ‘জঙ্গি’ বলে ফাঁসিয়েছেন তিনি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ যুবকের। আসুন শুনে নিই।
ইন্দোরে এক যুবকের সঙ্গে রয়েছে জঙ্গি সংযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ এমনই অভিযোগ জানিয়েছিল সে রাজ্যের প্রশাসনকে। তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে যুবককে আটকও করে পুলিশ। কিন্তু পরে জানা যায় পুরোটাই রটনা। ওই যুবকের স্ত্রী-ই নাকি জঙ্গি বলে ফাঁসিয়েছেন তাঁকে।
আরও শুনুন: সংখ্যায় বাড়ছে বিশেষ এক ধর্মের ‘বেআইনি ধর্মস্থান’, মুম্বইতে প্রতিবাদ মিছিল হিন্দুত্ববাদীদের
কিন্তু কেন এমনটা করেছেন তাঁর স্ত্রী?
সে উত্তর পেতে গেলে জানতে হবে যুবকের সংসারের কথা। বলা বাহুল্য, সেই সংসার ভাঙার সিদ্ধান্তের জেরেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সরফরাজ নামে ওই যুবক বেশ কিছুদিন চিনে ছিলেন। সেখানেই বিয়ে করেছিলেন এক চিনা মহিলাকে। কিন্তু স্ত্রী-র সঙ্গে একেবারেই বনিবনা হত না তাঁর। তাই ডিভোর্সের আবেদন জানান। তখনই শুরু হয় ঝামেলা। মহিলার উকিলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সরফরাজ। তাই প্রতিশোধ নিতেই এমন কাজ করেছেন তাঁর স্ত্রী। এমনটাই দাবি সরফরাজের। তাঁর মতে, ভারতে চলে আসার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে একটি মেইল পাঠান। সেখানেই সরফরাজকে জঙ্গি বলে দাবি করেন তিনি। সাধারণত এই ধরনের খবর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। তাই মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে তড়িঘড়ি বিষয়টি জানায় এনআইএ। তারপরই খোঁজ শুরু হয় যুবকের। তাঁর বাড়ি থেকে একটি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে পুলিশ। যেখানে চিনে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ ছিল। একইসঙ্গে তাঁরা জানতে পারেন, সরফরাজ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলায় দক্ষ। এইসব দেখে, তাঁকে জঙ্গি হিসেবে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তখনই সরফরাজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আরও শুনুন: সংস্কৃত থেকেই এসেছে ‘আল্লাহ্’ শব্দটি, দাবি বেনারসের শঙ্করাচার্যের
কিন্তু কিছুক্ষণ জেরার পরই সব সত্যি সামনে আসে। তিনি যে কোনোভাবেই জঙ্গি নন সেই ধারণাও পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়। তবুও যুবকের যাবতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্কের নথি সবই খতিয়ে দেখে পুলিশ। সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে থানাতেই আটকে রাখা হয়। প্রতিশোধ নেওয়ার বিভিন্ন রকমফের হামেশাই দেখা যায়, কিন্তু ডিভোর্সের কারণে স্বামীকে কাউকে জঙ্গি বলে দাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা বোধহয় বেশ বিরল।