বাড়ির ঢাউস ফ্রিজটা বহুদিন হল দেহ রেখেছে। কাজ করে না, এদিকে জায়গা জুড়ে বসে আছে। বিক্রি করলেও রিসেল ভ্যালু আর কতটুকু? কী করা যায় বলুন তো ফ্রিজটাকে নিয়ে?
ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল। আর এ তো বেড়ালও নয়, আস্ত একটা লাইব্রেরি! তাও কিনা ফ্রিজ থেকে তৈরি! গল্পেও নয়, এ ঘটনা ঘটছে বাস্তবেই। কীভাবে? বলছি সে কথাই।
আরও শুনুন: করোনার ছোবল থেকে কৃষকমৃত্যু… উৎসব কি এবার সত্যিই সবার?
দক্ষিণ কলকাতার একটি দোকানের সামনেই রাখা একটি ফ্রিজ। ভাবছেন, সে আর নতুন কী! তফাত হল, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম ইত্যাদির বদলে ফ্রিজটি বইয়ে ঠাসা। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস যাতে বাড়ে, সেই লক্ষ্য নিয়েই এই উদ্যোগ শুরু করেছেন এক শিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রী। ওই দোকানদারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর দোকানের সামনে ফ্রিজটি রাখার বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরা। এই লাইব্রেরির সদস্য হওয়ার জন্য কোনও টাকাপয়সা লাগে না। বই নেওয়ার নিয়মও খুব সহজ। প্রতি র্যাকে রাখা আছে একটি ডায়েরি। বই নেওয়ার সময় সেখানে পাঠক নিজেই লিখে দেবেন তাঁর নাম, ফোন নম্বর এবং সেদিনের তারিখ। একটি বই যে কেউ বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন এক মাসের জন্য। কেবল বইয়ের অযত্ন না করলেই হল। পড়া শেষ করে বইটি ফিরিয়ে দিতে হবে যথাস্থানে।
আরও শুনুন: শার্লক হোমসের সঙ্গেই ভারতে হাজির প্রথম পুলিশ গোয়েন্দাও, নয়া ভূমিকায় কলকাতা পুলিশ
এই উদ্যোগটির সূত্রপাত কিন্তু কলকাতায় নয়। লেই তোতু নামে এক ডিজাইনারের মাথায় এসেছিল এই অদ্ভুত এবং অভিনব ভাবনা। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমছে ক্রমশ, এমনটা মনে করেন অনেকেই। পরিবর্তে অনেকখানি সময় এবং মনোযোগ ছিনিয়ে নিচ্ছে টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রিন। এই অভ্যাসটাকে পালটে দেওয়ার আশা নিয়েই ফ্রিজ লাইব্রেরি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন লেই তোতু। মানুষের চলাফেরার পথে তার হাতের নাগালে তুলে দিতে চেয়েছিলেন বই। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। অকল্যান্ডের মাউন্ট রস্কিল এলাকায় তিনি চালু করেন একটি অলাভজনক উদ্যোগ। নাম দেন ‘বুক স্টপ’।
শুনে নিন বাকি অংশ।