বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদৌ মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা নিয়ে রহস্য কাটেনি এখনও। কিন্তু এই ধন্দ সত্ত্বেও সেই দিনটিকে নেতাজির মৃত্যুদিন বলেই কার্যত স্বীকৃতি দিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন এই মর্মেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানালেন বিভিন্ন শিবিরের একাধিক রাজনৈতিক নেতা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
‘মৃত্যুবার্ষিকী’তে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা, এই মর্মে বৃহস্পতিবার টুইট করলেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা। এদিন নেটমাধ্যমে কংগ্রেসের দলীয় প্রোফাইলের পাতায় লেখা হয়েছে, “ভারতের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্যতম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর দেশাত্মবোধ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে এবং তাঁকে এনে দিয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি।” একইভাবে নেতাজির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির তরফেও।
आज़ाद हिन्द फ़ौज के संस्थापक, स्वतंत्रता संग्राम के अग्रणी नायक नेताजी सुभाष चन्द्र बोस जी की पुण्यतिथि पर शत शत नमन एवं विनम्र श्रद्धांजलि। pic.twitter.com/e6TC0TmiRw
— Samajwadi Party (@samajwadiparty) August 18, 2022
आज़ाद हिन्द फौज के संस्थापक नेताजी सुभाष चंद्र बोस जी की पुण्यतिथि पर उन्हे सादर नमन।#SubhashChandraBose pic.twitter.com/LpfiPjrn7T
— Tej Pratap Yadav (@TejYadav14) August 18, 2022
প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের জাতীয় স্তরের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও এদিন মৃত্যুবার্ষিকী মনে রেখেই টুইটারে স্মরণ করেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতাকে। তবে পরবর্তীকালে তাঁরা সেই পোস্ট মুছে দেন। একই ঘটনা দেখা যায় অমৃত মহোৎসবের টুইটার হ্যান্ডেলেও। নেতাজির ‘পুণ্যতিথি’ বা মৃত্যুবার্ষিকী সম্পর্কিত পোস্টটি তুলে নেওয়া হয়।
আরও শুনুন: বাবা জেলবন্দি, তবু মানুষের স্বাধীনতার পক্ষেই সওয়াল সিদ্দিক কাপ্পানের মেয়ের
সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে রীতিমতো দ্বন্দ্ব রয়েছে প্রথম থেকেই। ঘরবন্দি দশা থেকে তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান একদিন ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের চমকে দিয়েছিল। তাঁর জীবনের শেষ অধ্যায়ও একইরকমভাবে ঢাকা রইল রহস্যের অন্ধকারে। কেউ কেউ মনে করেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকু বিমানবন্দরের অনতিদূরে সেই বিমান দুর্ঘটনাতেই চিরতরে হারিয়ে যান তিনি। কেউ কেউ আবার পালটা দাবি করেন, ভেঙে পড়া সেই বিমানটিতে তিনি ছিলেনই না আসলে, এ সবকিছুই ছিল ব্রিটিশের চোখে ধুলো দেওয়ার আরেক ফন্দি। পরবর্তীকালে একাধিক সাধু-সন্ন্যাসীকে নিয়েও এমন দাবি উঠেছে যে নেতাজি ছদ্মবেশে ফিরে এসেছেন। সব মিলিয়ে নেতাজির মৃত্যুর বিষয়টি এখনও অমীমাংসিতই থেকে গিয়েছে। এমনকি জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা যে দেহাবশেষকে নেতাজির চিতাভস্ম বলে দাবি করেন অনেকেই, সেই চিতাভস্মও ভারতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়নি কোনও সরকার। সম্প্রতি, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আরও একবার সেই দাবি তুলেছিলেন সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফ। এসবের মধ্যেই, সেই বিমান দুর্ঘটনার দিনটিকে নেতাজির মৃত্যুদিনকেই কি কার্যত স্বীকৃতি দিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ? এদিন জিইয়ে থাকল সেই প্রশ্নই।
On his death anniversary, we pay homage to one of the greatest freedom fighters of India, Subas Chandra Bose. Known as Netaji, his patriotism went on to inspire generations after him and earned him an unwearied reputation all over the world. pic.twitter.com/3QGPBBYjpO
— Congress (@INCIndia) August 18, 2022