ভালো মানুষ হতে গেলে, সবার আগে মাংস খাওয়া ছাড়তে হবে। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন আইআইটির ডিরেক্টর। সেইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, এত বেশি মাংশ খাওয়া হচ্ছে বলেই ধস নামছে হিমাচল প্রদেশে। এ প্রসঙ্গে আর কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
লাগাতার বৃষ্টি। তার সঙ্গে ধস। বিগত কয়েক মাসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। তবে এসবের কারণ নাকি মাংস খাওয়া। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য শোনা গেল আইআইটির ডিরেক্টরের মুখে। তাঁর সাফ দাবি, পশুহত্যা বন্ধ হলেই প্রকৃতির তাণ্ডব থামবে।
আরও শুনুন: Akhand Bharat: বেশিদিনের অপেক্ষা নয়, ‘অখণ্ড ভারত’ দেখবে এই প্রজন্মই, প্রতিশ্রুতি মোহন ভাগবতের
সাজানো সুন্দর শৈলশহর। প্রতি বছর হাজারও পর্যটকের ভিড় জমে হিমাচল প্রদেশে। তবে প্রকৃতির রোষের বিগত কয়েক মাস বিধ্বস্ত বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকা। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাবের বাইরে বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না। তবে এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে মাংস খাওয়াকে দায়ী করেছেন, মান্ডি আইআইটির ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহেরা। হিমাচল প্রদেশের অন্তর্গত সাজানো শহর মান্ডি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে পড়তে আসেন ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেইসব পড়ুয়াদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ই এমনটা বলেছেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহেরা। ভিডিওর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে, তিনি পড়ুয়াদের জীজ্ঞাসা করছেন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য কী করতে হবে? সাধারণত কলেজ বা ইউনিভার্সিটির অধ্যক্ষরা এই ধরনের কথা বলেই থাকেন। যার উত্তর বিভিন্ন রকমের হতে পারে। কেউ বলেন মন দিয়ে পড়াশোনা করতে, কেউ আবার পরিশ্রমী ও সৎ হওয়ার উপদেশ দেন। কিন্তু লক্ষ্মীধর সেসবের কিছুই বলেননি। তাঁর কথায়, ভালো মানুষ হতে সবার আগে ছাড়তে হবে মাংস খাওয়া। একথা তিনি নিজে বলেই ক্ষান্ত হননি। সামনে থাকা সবাইকেই একই কথা বলার নির্দেশ দেন।
আরও শুনুন: Bharat: ‘ইন্ডিয়া’ নামের দাবিদার কি পাকিস্তান? ভারতের নামবদলের জল্পনার মাঝেই নয়া রটনা
এরপরই তিনি হিমাচল প্রদেশের প্রাকৃতির বিপর্যয়ের প্রসঙ্গে বলতে শুরু করেন। তাঁর সাফ দাবি, এই সব কিছুর কারণ আসলে পশুহত্যা। মানুষ নির্বিচারে নিরীহ পশুদের হত্যা করছে। এই সব বন্ধ না করলে আরও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও দাবি লক্ষ্মীধরের। সরাসরি হিমাচলের লাগাতার বৃষ্টি, ধস কিংবা অন্যান্য বিপর্যয়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মাংস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলেই এমনটা হচ্ছে, দাবি লক্ষ্মীধরের। তিনি একে মারাত্মক হিংসা বলেই চিহ্নিত করেছেন। নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে বারবার পড়ুয়াদের মাংস খাওয়া বন্ধ করার নিদান দিয়েছেন তিনি। তবে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই হাসির রোল উঠেছে। অনেকেই তাঁর এই মন্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ তাঁর যোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের কাছে এহেন যুক্তি মোটেও গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। সেইসঙ্গে নেটদুনিয়ার একাংশ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে।
Director of an IIT. Why is Himachal having landslides? Because of unplanned construction/deforestation/climate change/all of the above? No. Because of meat-eating.
Is he saying farming animals leads to deforestation? No. He says it leads to cloudbursts.https://t.co/uudBNxWUCO— Rahul Siddharthan (@rsidd120) September 7, 2023