আর জি কর কাণ্ড বুঝিয়ে দিয়েছে, কর্মক্ষেত্রেও নিরাপদ নন মহিলারা। সেই আবহেই এবার খোদ হাসপাতালেই মহিলা কর্মীদের মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পথে হাঁটছে একটি হাসপাতাল। শুনে নেওয়া যাক।
আর জি করে ডিউটি চলাকালীনই ধর্ষণ খুনের শিকার মহিলা চিকিৎসক। সে ঘটনার জেরে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি। দিনের অনেকটা সময়ই যেহেতু আমাদের কর্মক্ষেত্রেই কাটে, ফলে কর্মক্ষেত্রকে আরও একটা বাড়ি বলে ভাবতেই আমরা অভ্যস্ত। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে নিজেদের নিরাপদ বলেই মনে হয়। কিন্তু আর জি কর কাণ্ড সেই মনে হওয়ার সামনেই বড় প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে মহিলাদের আত্মরক্ষার উপায় শেখা কতটা জরুরি, সে কথাও উঠে আসছে এই আবহে। আর এই পরিস্থিতিতেই কোচির এক হাসপাতালের সিদ্ধান্ত, খোদ হাসপাতালেই মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মহিলা কর্মীদের।
আরও শুনুন:
ধর্ষণ-প্রতিরোধী আইনে জোর! নির্ভয়া কাণ্ডেও বদলায় আইন, সমাজের মন বদলেছে কি?
আসলে মহিলাদের বিপন্নতার কথাটি তো আর নতুন নয়, পুরনোও নয়। তবে একেকটি ঘটনা আমাদের ঝাঁকিয়ে দিয়ে সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করে দেয়। যেমনটা ঘটেছে আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে। আর সেই আবহেই বেনজির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোচির ভিপিএস লাকেশোর হাসপাতাল। গোটা রাজ্যে মেয়েদের সুরক্ষা বাড়ানোর যে প্রকল্প চলছে, তার অংশ হিসেবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, মহিলা কর্মীদের মার্শাল আর্ট শেখানো হবে। এই প্রশিক্ষণ প্রকল্পের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে হাসপাতাল। প্রত্যেক মহিলা কর্মীকেই এই প্রশিক্ষণ নিতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কর্মীরা সহ প্রায় ৫০ হাজার মহিলাকে বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভেবেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে তাঁদের দেওয়া হবে সেফটি কিট, যেখানে পেপার স্প্রে-র মতো নিরাপত্তাসূচক জিনিস থাকবে।
আরও শুনুন:
বস্ত্রহরণ শুধু নয়, মনে রাখা জরুরি দ্রৌপদীর ন্যায়বিচারের আরজিও, ভোলেননি কৃষ্ণ
নারী নিগ্রহ কিংবা ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য সামাজিক স্তরে বদল প্রয়োজন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার জন্য প্রশাসনিক সচেতনতা ও সদিচ্ছারও প্রয়োজন একইভাবে। তবে যতদিন পর্যন্ত সেই কাঙ্ক্ষিত বদল না আসছে, ততদিন মেয়েদের নিজেকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা তো জারি রাখতেই হবে। সেই চেষ্টার নিরিখেই সহায়ক হতে পারে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ, এমনটাই আশা করা যায়।