সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোট হয়েছে কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অংশে। আর সেখানেই মহিলা সেজে ভোট দিতে দেখা গেল এক বৃদ্ধকে। এমন আচরণের নেপথ্যে বিশেষ যুক্তিও দেখিয়েছেন তিনি। ঠিক কী বলছেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পরনে মহিলাদের পোশাক। গলায় হার। কাঁধে লেডিস ব্যাগ। চোখে রোদচশমা। ভোটের লাইনে এমন কোনও মুহিলাকে দেখা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কোনও পুরুষকে ঠিক এইভাবে দেখলে খানিক অবাক হতেই হয়। সম্প্রতি কেরলের একটি বুথে ঘটেছে ঠিক এমনটাই। পুরোদস্তুর মহিলা সেজেই সেখানে ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন এক বৃদ্ধ।
আরও শুনুন: ‘গরিবি’ হটিয়ে ‘আচ্ছে দিন’ এল কি? দশে মিলে দেশের রাজনীতি চেনাল স্লোগানেরা
ভরা গরমে লোকসভা নির্বাচন। গরম এড়াতে সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে পরনের পোশাকও থাকছে একেবারে সাদামাটা। ভোট দিতে যাওয়ার জন্য আলাদা করে সাজের প্রয়োজন নেই। তার ওপর যা গরম, তাতে সাজগোজের কথা বেমালুম ভুলেছেন সকলে। ব্যতিক্রম কেরলের রাজেন্দ্র প্রসাদ। বছর ৭৮ এর বৃদ্ধ দক্ষিণ কেরলের বাসিন্দা। সেখানকার এঝোকোন অঞ্চলের এক বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। আর তখনই পুরোদস্তুর মহিলাদের মতো সেজে গিয়েছিলেন রাজেন্দ্র। স্বাভাবিক ভাবে তাঁকে দেখে বেশ অবাক হন অন্যান্য ভোটাররা। অনেকে এগিয়ে আসেন ছবি তোলার জন্য। রোদে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবিও তোলেন বৃদ্ধ। এখন প্রশ্ন হল, এমনটা কেন করলেন ওই বৃদ্ধ?
আরও শুনুন: মানুষ নয়, ভোটে দাঁড়াল গরু! ব্যাপারটা ঠিক কী?
উত্তরে নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির কথাই তুলে ধরেছেন রাজেন্দ্র। এমনিতে ভোটার আই কার্ডে ভুল থাকা কোনও নতুন ব্যাপার নয়। কারও ছবি আলাদা তো নাম বিভ্রাট! কিছু না থাকলে বাড়ির ঠিকানায় ভুল। যদিও সেসব শুধরে নেওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু সকলের পক্ষে তেমনটা করা সহজ নয়। রাজেন্দ্রর ক্ষেত্রেও ঘটেছে ঠিক তেমনটা। তবে তাঁর ভোটার কার্ডে নাম বা ঠিকানা ভুল নেই। ছবিও একদম ঠিক রয়েছে। ভুল বলতে তাঁর লিঙ্গ পরিচয়। পুরুষের বদলে সেখানে লেখা রয়েছে মহিলা। এই কারণেই ভোটের দিন মহিলা সেজে ভোটকেন্দ্রে হাজির হন রাজেন্দ্র। তাঁর কথায়, সুপ্রিম কোর্টের মতো নির্বাচন কমিশনের কথাও অমান্য করা যায় না। তাই কমিশন যখন তাঁর পরিচয় হিসেবে মহিলা লিখেছে, তখন তিনি মহিলাই। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও-ও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও অনেকে মনে করছেন, রাজেন্দ্র মশকরা করেই এমনটা বলেছেন। একইসঙ্গে কীভাবে ভোটার কার্ডে ভুল ঠিক করতে হয় সেই তথ্যও আলোচনায় উঠে এসেছে। এবার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা টেকনলজি সম্পর্কে ততটা ওয়াকিবহাল নন তাঁরা কীভাবে ভুল ঠিক করবেন সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।