সামনেই রাখি। সেই উপলক্ষে দেশের মহিলাদের ৩০০০ টাকা করে দেবে বিজেপি সরকার। সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওতে এমনটাই শোনা গিয়েছিল। সেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করেই দেওয়া হয়েছিল প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সত্যিই কী এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে? আসুন শুনে নিই।
ক্ষমতার আসার পর, দেশের মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছে বিজেপি সরকার। সম্প্রতি এক ভিডিওতেও এমনই এক প্রকল্পের দাবি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, আসন্ন রাখি উপলক্ষে দেশের সমস্ত মহিলাকে ৩০০০ টাকা উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী সেই টাকা তাঁদের দিচ্ছেন, এমনটাই জানানো হয়েছিল বিজ্ঞাপনে।
ভিডিওটি দেখে রীতিমতো হইচই শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। নতুন বছরেই লোকসভা নির্বাচন। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন, এই উপহারের ব্যবস্থাও সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নাম থেকে অধিকাংশের মনেই সন্দেহের অবকাশ তৈরি হয়নি। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়, ‘লাডলি বেহেন যোজনা’। ভিডিওতে সাফ উল্লেখ করা ছিল, এই প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা খোদ মোদি। তাঁর ইচ্ছাতেই দেশের মহিলারা এই উপহার পেতে চলেছেন। শর্ত বলতে, স্রেফ নিজেদের মোবাইল নাম্বার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে লিংক করা। সেইসঙ্গে দিতে হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ। দাবি করা হয়েছিল সেই অ্যাকাউন্টেই ঢুকবে টাকা। ভিডিওতে আরও দাবি করা হয়, রাখি উপলক্ষে দেওয়া এই উপহার মহিলারা নিজেদের প্রয়োজনে খরচ করবেন।
কিন্তু সত্যিই কি এমন কোনও প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার?
উত্তর অবশ্যই, না। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নাম করে এক্ষেত্রে স্রেফ ভুয়ো প্রচার চালানো হয়েছে। ভিডিওতে যা দাবি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে এমনই এক প্রকল্প চালু করেতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের নামও এক। তফাৎ বলতে টাকার অঙ্ক। আর রাখির সঙ্গে এর কোনও যোগও নেই। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সে রাজ্যের মহিলারা প্রতি মাসেই ১০০০ টাকা করে পান। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলে আসছে। সেই প্রকল্পের নাম ভাঁড়িয়েই ওই ভুয়ো ভিডিওটি তৈরি হয়। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে এমন মিথ্যে প্রচার এর আগেও হয়েছে। তবে এইভাবে দেশের মহিলাদের কেন্দ্র করে ভুয়ো প্রচার নজিরবিহীন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে এসেছে প্রশাসনের। কেউ যেন এই ভুয়ো প্রচারের ফাঁদে পা না দেন, আপাতত সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে।