রাম মন্দির তৈরি নিছকই রাজনৈতিক চাল। সম্প্রতি মন্দির নির্মাণের সঙ্গে পুলওয়ামা হামলার তুলনা টেনে, এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডি. সুধাকর। ঠিক কী বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন। আসন্ন নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে যা বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সম্প্রতি সেই সুরেই সুর মেলালেন কর্নাটকের মন্ত্রী ডি. সুধাকর। শুধু তাই নয়, মন্দির নির্মাণকে পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘রাম মন্দির ধ্বংস করে মুসলিমদের দোষ দিতে পারে’, বিজেপিকে নিশানা কংগ্রেস নেতার
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিজেপি। আর সেই ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যেই রাম মন্দিরকে ব্যবহার করতে পারে বিজপি, বিরোধী শিবিরের অনেকেই সেই দাবি তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্কেও জড়িয়েছেন বহু বিরোধী নেতা। সম্প্রতি সেই তালিকায় যোগ হল কংগ্রেস নেতা ডি. সুধাকরের নাম। হাত শিবিরের এই নেতা রাম মন্দির তৈরির প্রসঙ্গে বলেছেন, মন্দির তৈরি নিছকই এক রাজনৈতিক চাল। তাঁর দাবি, এও পুলওয়ামা হামলার মতো ভোট বাড়ানোর ফিরিক মাত্র। তাঁর সাফ যুক্তি, গত নির্বাচনে ভোট বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে পুলওয়ামা হামলাকে ব্যবহার করেছিল বিজেপি। এবার তাঁরা রামের ছবি ব্যবহার করছে। তবে সুধাকরের দাবি, মানুষকে বারবার ঠকানো সম্ভব নয়। মন্ত্রীর বিশ্বাস, প্রথম দু-বার ঠকলেও, এবার আর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না। বলাই বাহুল্য, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির কোনও স্টান্টই কাজে আসবে না বলে মনে করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটকের মন্ত্রী ডি.সুধাকর।
আরও শুনুন: ১০০০ বছরেও দরকার হবে না মেরামতির, কী এমন প্রযুক্তি থাকছে রাম মন্দিরে?
শুধু তাই নয়, রামের নামে কোনও ভেদাভেদ চলবে না বলেও দাবি করেছেন সুধাকর। এ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, রাম মন্দির নির্মাণে প্রায় সকলেই সাধ্যমতো অনুদান পাঠিয়েছে। টাকা পয়সা থেকে শুরু করে মন্দির তৈরি ইটও দান করা হয়েছে। এমনকি তিনি নিজেও অনুদান দিয়েছেন। তাই এই মন্দির নির্মাণের সমস্ত কৃত্তিত্ব কারও একার নয় বলেই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা। সব শেষে পুলওয়ামা হামলায় মৃতদের কথা স্মরণ করান তিনি। রীতিমতো ক্ষোভও প্রকাশ করেন। একদিকে রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে সাজো সাজো রব গোটা অযোধ্যায়। রাজকীয় অনুষ্ঠানের প্রহর গুনছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রামভক্তরা। সেই আবহে মন্দির নির্মাণ নিয়ে করা কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।