যেসব বিধায়করা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা আসলে ‘যৌনকর্মী’-র মতো কাজ করেছেন। এমন মন্তব্য করেই বিতর্ক উসকে দিলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রাজনৈতিক সুবিধা দেখে যেসব কংগ্রেস বিধায়কেরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা দেহোপজীবিনীদের শামিল। সম্প্রতি প্রকাশ্য অনুষ্ঠান থেকেই এহেন তুলনা টানলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা তথা সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বি কে হরিপ্রসাদ। রাজ্যের মন্ত্রী আনন্দ সিং সহ যারা যারা ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর দল বদল করেছিলেন, তাঁদের দিকে নিশানা করেই তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। বস্তুত এই বিপুল দল বদলের হিড়িকেই সেসময় কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস-এর সম্মিলিত সরকার পড়ে গিয়েছিল। সেই ইস্যু টেনে কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের জেরে স্বাভাবিকভাবেই উসকে উঠেছে বিতর্ক। যদিও তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে সরব ওই নেতা।
আরও শুনুন: ‘নারীশক্তিই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে’, নারীদের ভারত-জোড়ো-যাত্রায় আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস
কী ঘটেছে ঠিক?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হোসাপেট এলাকার এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ। আর সেখান থেকেই বিজেপি শিবিরের দিকে কড়া আক্রমণ শানান তিনি। ওই নেতার সাফ কথা, একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক কোন পক্ষ নেবেন তা পরিষ্কার করে জানাননি। সেই কারণেই জোট সরকার গড়তে বাধ্য হয়েছিল দল। এরপর ওই বিধায়করা দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় গেরুয়া শিবির। এরপরেই জনতাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর সংযোজন, যাঁরা খাবার জোগাড় করার জন্য নিজেদের শরীরকে বিক্রি করেন, তাঁদের তো আমরা দেহোপজীবিনী বলে থাকি। তাহলে এই নেতাদের কী নামে ডাকবেন, তা আপনারাই ঠিক করুন। আগামী নির্বাচনে ওই বিধায়কদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
আরও শুনুন: পরকীয়ার দিকে বেশি ঝুঁকছে ভারতীয়রা, শামিল গৃহবধূরাও, বলছে সমীক্ষা
কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ঘনিয়ে উঠেছে বিতর্ক। দেহোপজীবিনীদের কথা তুলে আসলে তাঁদের নিচু চোখে দেখেছেন ওই নেতা, এমনটাই দাবি অনেকের। যদিও এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। যৌনকর্মীরা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচেন, এ কথা বলে তাঁর দাবি, কোনও মতেই তাঁদের অসম্মান করতে চাননি তিনি। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলার পাশাপাশি যৌনকর্মী সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমাপ্রকাশও করেছেন কর্ণাটকের ওই কংগ্রেস নেতা।