নির্বাচনে লড়তে চান নির্দল প্রার্থী হিসেবেই। কিন্তু তার জন্য যে জামানত রাখতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। সেই পুরো জামানতই এক টাকার কয়েনে মেটালেন কর্ণাটকের এই ব্যক্তি। ১ টাকার কয়েনে মোট ১০ হাজার টাকা হাতে পেয়ে তাজ্জব নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও। ঠিক কী ঘটেছে, শুনে নেওয়া যাক সে কথাই।
নির্বাচনের মরশুমে অভিনব কাণ্ডকারখানা ঘটেই থাকে। কিন্তু এই ব্যক্তির কীর্তি দেখে চমকে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও। না, কোথাও যে কোনও নিয়ম ভেঙেছেন তিনি, এমনটা নয় কিন্তু। ইয়াঙ্কাপ্পা নামে কর্ণাটকের এই ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে চান তিনি। তার জন্য যা যা নিয়ম পালন করতে হয়, তার সবটাই করেছেন তিনি। আর সেখানেই ঘটিয়েছেন এক বেনজির কাণ্ড। আসলে, কেউ নির্বাচনে লড়তে চাইলে তাঁকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা রাখতে হয়। একে বলা হয় জামানতের অর্থ। কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই জামানতের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। সেই পুরো টাকাটাই মিটিয়েও দিয়েছেন এই ব্যক্তি, তবে ১ টাকার কয়েনে। আর সেই কয়েনের স্তূপ দেখেই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
তবে কেন ১ টাকার কয়েন দিয়েই ওই জামানত জমা করেছেন ব্যক্তি, তার কারণও জানিয়েছেন তিনি। খুলেই বলা যাক সে কথা।
আরও শুনুন: রমজান মাসেই ভাঙা পড়ল ২৫০ বছরের পুরনো মসজিদ-সংলগ্ন মাদ্রাসা, শুরু বিতর্ক
এমনিতে নির্বাচনী কমিশনের বিধি অনুসারেই এই জামানত জমা করতে হয় সব প্রার্থীকে। বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ শ্রেণির প্রার্থীরা ১০ হাজার টাকা ও এসসি-এসটি প্রার্থীরা ৫ হাজার টাকা জমা দেন। আর সেই জামানতের অর্থ জমা দিতে গিয়েই প্রচারে চলে এলেন কর্ণাটকের ইয়াদগির নির্বাচনী এলাকার এই নির্দল প্রার্থী। সম্প্রতি টাকা জমা দেওয়ার জন্য তহশিলদারের অফিসে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁর গলায় ঝোলানো ছিল একটি বড়সড় পোস্টার, যাতে লেখা ছিল সংবিধানের ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার অংশটুকু। পোস্টারে ছিল স্বামী বিবেকানন্দ, বি আর আম্বেদকর, দ্বাদশ শতকের সমাজসংস্কারক বাসবেশ্বর এবং কর্ণাটকের সন্ত কবি কনকদাসের ছবিও। একইসঙ্গে ওই পোস্টারে লেখা ছিল, “শুধু এক টাকা নয়, একটি ভোট দিন। আপনি একদিন ভোট দিন, আমি আপনাকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেব।” জানা গিয়েছে, নিজের নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের থেকেই এক ১ টাকার কয়েনগুলি সংগ্রহ করেছেন ওই প্রার্থী। তার জন্য গোটা এলাকা পায়ে হেঁটেই ঘুরেছেন তিনি। আর শেষমেশ ভোটারদের থেকে পাওয়া সেই কয়েন দিয়েই নিজের জামানত জমা করলেন কর্ণাটকের এই প্রার্থী।