দেশের ৮২ শতাংশ মানুষই যেখানে হিন্দু, সেখানে ঘোষণা করা হোক বা না হোক, ভারত হিন্দুরাষ্ট্রই। ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক, ধর্মগুরুর এই দাবির প্রেক্ষিতে সওয়াল করলেন কংগ্রেস নেতা। যা নিয়ে দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে আরও একবার উসকে উঠল ধর্মীয় বিতর্ক। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সাম্প্রতিক কালে মাঝে মাঝেই ধর্ম নিয়ে বিতর্ক উসকে উঠেছে গোটা দেশ জুড়ে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যেও অনেকসময়ই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কথার স্রোত। ভারতে হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষদের আদৌ থাকা উচিত কি না, এই নিয়েও চোরাগোপ্তা কথা চলছে। সেখানে ভারতকে সরাসরি হিন্দু রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করারই দাবি তুলেছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। সে কথা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতা নন, খোদ কংগ্রেস শিবিরের এক নেতাই সওয়াল করলেন সেই কথার পক্ষে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস সাংসদ কমল নাথের সাফ বক্তব্য, এ দেশে ৮২ শতাংশ হিন্দু রয়েছে। সুতরাং ভারত আসলে একটি হিন্দু রাষ্ট্রই। ঘোষণা করা হোক বা না হোক, তথ্য আর পরিসংখ্যানই সে কথা বুঝিয়ে দিচ্ছে। কার্যত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর পক্ষে দাঁড়িয়েই এমনটা বললেন কংগ্রেস নেতা।
আরও শুনুন: গণেশের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে মোদি! দেবতাকে অপমান নাকি মিথ্যে প্রচার? মিলল জবাব
এর আগে কমল নাথের ছেলে নকুল কমল নাথ বাগেশ্বর ধামের প্রধান পুরোহিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। যে ঘটনায় বর্ষীয়ান আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, কমল-পুত্র যে ধর্মগুরুর হয়ে প্রশস্তি গাইছেন, তিনি সবসময় এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি তোলেন। এহেন হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডার জন্য ওই ধর্মগুরুর বিরোধিতা করার ডাক দিয়েছিল আরজেডি। কিন্তু এবার ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে শাস্ত্রীর পক্ষে জোর সওয়াল করলেন কমল নাথও। তাঁর মতে, যে দেশে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ হিন্দু ধর্মের, সেখানে দেশটি হিন্দু রাষ্ট্র কি না, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশই নেই। তথ্যের বিচারেই এ কথা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।
আরও শুনুন: হিজাব বিতর্কের জেরে থমকে শিক্ষা, আসলে কি ক্ষতিই হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের?
বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোর বাড়াতেই জোট বেঁধেছে একাধিক বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক দল। সেই জোটের প্রথম সারিতে কংগ্রেস তো রয়েছেই, আরজেডি-ও তাদের জোটসঙ্গী। এই পরিস্থিতিতে কমল নাথের এই মন্তব্য জোটকেই খানিক অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।