প্রধানমন্ত্রী মোদিকে শত্রু মনে করেন না। সাফ জানালেন উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য। তবে মোদি কোনও ভুল করলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন। একথাও জানিয়েছেন তিনি। ঠিক কোন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করলেন শঙ্করাচার্য? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অসম্পূর্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠা শাস্ত্রবিরুদ্ধ। এই যুক্তিতে রামমন্দির প্রতিষ্ঠায় অংশ নেননি শঙ্করাচার্যরা। শুধু তাই নয়, আরও একাধিক বিষয়ে শাসক দলের কাজ অসমর্থন করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাই বলে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন উত্তরাখন্ডের শঙ্করাচার্য অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
:আরও শুনুন:
সম্প্রতি মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে মুম্বইয়ে চাঁদের হাট বসেছিল। রাজনীতি থেকে বিনোদন, খেলা থেকে বাণিজ্য, কোনও ক্ষেত্রের নামীদামি ব্যক্তিত্বদেরই আমন্ত্রণ জানাতে ভোলেনি আম্বানি পরিবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক ধর্মগুরু। তালিকায় উত্তরাখন্ডের শঙ্করাচার্যও ছিলেন। বিয়ের পর নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করেছেন তিনি। স্রেফ অনন্ত-রাধিকা নয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরাও শঙ্করাচার্যকে দেখে ভিড় জমান। সকলেই নতমস্তকে ধর্মগুরুর আশীর্বাদ প্রার্থণা করেন। সেই দলেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে জোড়হাতে শঙ্করাচার্যের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মোদিকে সামনে থেকে আলাদা কোনও আচরণ করেননি শঙ্করাচার্যও। অন্যান্য ভক্তদের মতো মোদিকে দু-হাত তুলে আশীর্বাদ করেন তিনি। কিন্তু তাঁদের এই ছবি ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। এর আগে শাসক দলের বেশ কিছু কাজ অসমর্থন করেছিলেন শঙ্করাচার্যরা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁদের। তাহলে আম্বানির বিয়েতে কেন মোদিকে আশীর্বাদ করলেন শঙ্করাচার্য? প্রশ্ন তোলেন নেটদুনিয়ার একাংশ।
:আরও শুনুন:
অখুশি শঙ্করাচার্যরা, মোদির ধর্মাচরণে খুশি কোন ধর্মগুরুরা?
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় খোদ শঙ্করাচার্যের কাছেই। উত্তরে ধর্মগুরু সাফ জানিয়ে দেন, মোদিকে কোনওভাবেই শত্রু মনে করেন না তিনি। শঙ্করাচার্যের যুক্তি, নিয়ম অনুযায়ী কেউ প্রণাম করলে তিনি আশীর্বাদ করতে বাধ্য। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রণাম করেছেন, তাই তিনিও আশীর্বাদ করেছেন। একইসঙ্গে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর শুভাকাঙ্ক্ষী বলেই দাবি করেছেন শঙ্করাচার্য। আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রীর ভালো হোক এই প্রার্থনাও করেছেন। তাই বলে প্রধানমন্ত্রী কোনও ভুল করলে তিনি চুপ থাকবেন এমনটা নয়। শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই আগামীদিনে মোদির ভুল ধরিয়ে দেবেন বলেই জানিয়েছেন শঙ্করাচার্য। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই শঙ্করাচার্যকে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠায় না যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়া মানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরোধিতা করা নয়। এবার আরও একবার সে কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি। একইসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও শত্রুতা নেই।