প্রথম থেকেই দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ। দীর্ঘদিন বিদেশমন্ত্রকের আমলা, বর্তমানে সেই মন্ত্রকেরই প্রধান। বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শংকরের বিভিন্ন মন্তব্যে প্রায়শই উত্তাল হয় নেটদুনিয়া। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী মোদি বা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কটুক্তি করলে ছেড়ে কথা বলেন না জয়শংকর। সম্প্রতি, মোদির বিদেশসফর নিয়ে অদ্ভুত এক দাবি করেছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন? আসুন শুনে নিই।
রাজীব গান্ধির সময় থেকে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বহুবার বিদেশসফরে গিয়েছেন এস. জয়শংকর। কিন্তু মোদির বিদেশ সফরের গুরুত্ব সেই সবকিছুর থেকে বেশি। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা। এমনটাই দাবি করেছেন খোদ বিদেশমন্ত্রী।
আরও শুনুন: সংখ্যালঘুরা বেশি সুবিধা পেয়েছেন মোদির আমলেই! কোন তথ্যে এমন দাবি বিজেপি নেতার?
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বহুবার বিদেশসফরে গিয়েছে মোদি। তবে তাঁর সাম্প্রতিক মার্কিন সফর বিশেষভাবে সাড়া ফেলেছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে। চার দিনের সফরে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মোদি। অংশ নিয়েছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। শুধু তাই নয়, বিদেশের একাধিক ধনকুবের এই সফরে মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন। ভারতে বিনিয়োগের আশ্বাসও দিয়েছেন অনেকেই। এইসব সূত্র ধরেই মোদির এই সফরকে অন্য নজরে দেখছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। এখনও পর্যন্ত মোট তিনজন প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে অবশ্যই ২০১৪ সালে মোদির বিদেশ সফর রয়েছে। সেইসঙ্গে ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধির ওয়াশিংটন সফর, ২০০৯ সালে মনমোহন সিং-এর মার্কিন সফরকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। এই তিন সফরই ভারতের বিদেশ সম্পর্ক মজবুত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল বলে দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী। তবে মোদির সাম্প্রতিক বিদেশ সফর এই সবকিছুর থেকে আলাদা।
আরও শুনুন: কেদারনাথ মন্দিরের সামনে প্রপোজ, জড়িয়ে ধরে ছবি পোস্ট যুগলের, নিন্দায় সরব নেটদুনিয়া
প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে দুবার বক্তব্য রেখেছেন।অন্যদিকে এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা যতবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষার স্বার্থে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু মোদি তাঁর সাম্প্রতিক, সফরে একইসঙ্গে বিদেশি নীতি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা এবং মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক, দুই-ই সেরেছেন। তাই এই সফর অনন্য বলেই দাবি বিদেশমন্ত্রীর। তাঁর দাবি এই আলোচনা ভবিষ্যতে ভারতের অগ্রগতিতে বিশেষ সুবিধা করবে। একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের স্বীকৃতি আরও মজবুত হবে, তেমনই ভারতে বিদেশি সংস্থার বিনিয়োগও বাড়বে। এমনতাও মনে করছেন জয়শংকর। আর এই সবকিছুর নেপথ্যেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাই একাধিকবার এই সফরের গুরুত্ব নিয়ে সওয়াল করছেন বিদেশমন্ত্রী।