দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে সচেষ্ট হোক কেন্দ্র। দিনকয় আগেই এই বার্তা দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তিনি ভারতের তুলনা করতে চাননি, তবু সাম্প্রতিক পরস্থিতির নিরিখে বলেছিলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ। এখুনি সব দলের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুক কেন্দ্র। প্রায় সেই একই কথা এবার উঠে এল শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের মুখে। কী বললেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাথাচাড়া দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি। দিল্লি থেকে গুজরাট – সর্বত্রই একই ছবি। এরকম চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কা বা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থার থেকেও খারাপ জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শিব সেনার সঞ্জয় রাউত।
আরও শুনুন: ‘সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করার নয়া আইন সই হবে ওখানে’, মোদির জন্য টেবিল বানাতে নারাজ শিল্পী
রামনবমীর সময় অশান্ত হয়ে উঠেছে খোদ রাজধানী। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের ধোঁয়া এখন সর্বত্র। দেশের রাজধানীর এহেন অবস্থা পুরো দেশের জন্যই মোটেও ভাল বিজ্ঞাপন নয়, এমনটাই মত সঞ্জয়ের। তিনি তাই বলছেন, দেশের সমস্ত বড় বড় শহরে যে এরকম ঘটনা ঘটছে বা ঘটানো হচ্ছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিজেপিকে বিঁধে সঞ্জয়ের দাবি, আসন্ন ভোটের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। দিল্লি যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তা উল্লেখ করেও পরোক্ষে কেন্দ্রের অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিব সেনা নেতা। তাঁর দাবি, এই সমস্তকিছুর একটাই কারণ, তা হল ভোটে জেতা।
আরও শুনুন: কোরান পাঠ করেই শুরু হয় পূজা, সম্প্রীতির ধারা বয়ে নিয়ে চলেছে কর্ণাটকের মন্দির
মহারাষ্ট্রেই মসজিদে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে চলছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করার দাবিতে উঠেপড়ে লেগেছেন এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে। অন্যদিকে শিব সেনার তরফে আদিত্য ঠাকরে তার জবাব দিচ্ছেন। বলেছেন, লাউডস্পিকারে তো মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস-পেট্রলের দাম বাড়ার কথাও বলা যায়। গত রবিবার অমরাবতীতে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়েও মুখ খুলেছেন সঞ্জয়। জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি ক্ষমতায় নেই বলেই লাউডস্পিকারকে ইস্যু করেছে। অন্যান্য বড় শহরগুলিও একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই প্যাটার্ন বা প্রবণতা যদি চলতে থাকে তবে দেশের অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলেই মনে করছেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা বা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের থেকেও দেশের অর্থনীতি খারাপ দিকে গড়াতে পারে।
ঠিক একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও অর্থনীতি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগই এসে মিলল একই বিন্দুতে।