ভারতবর্ষ বৈচিত্রে ভরা। বৈপরীত্যেও। এ-দেশে তাই ধনী-দরিদ্রের গ্রাফ দেখলে চোখ কপালে ওঠে। মহামারীর দরুন দেশে বেড়েছে দারিদ্র্য। আবার ধনকুবেরদের সংখ্যার নিরিখে দেশের স্থান বিশ্বে তৃতীয়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান সে-কথাই জানাচ্ছে। আসুন শুনে নিই।
মহামারীর কবলে পড়ে সারা বিশ্বেরই আর্থিক গতি থমকে গিয়েছিল। ব্যতিক্রম নয় ভারতবর্ষও। কর্মসংস্থান হারিয়ে বহু মানুষ বিপাকে পড়েছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই দারিদ্র্যের কবলে পড়েছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে কোভিডের দরুন অন্তত ৮০ শতাংশ ভারতবাসীর উপর পড়েছিল দারিদ্র্যের থাবা। এই যখন দেশের একদিকের ছবি, তখন অন্যদিকের ছবিটি রীতিমতো চমকপ্রদ। জানা যাচ্ছে, ধনকুবের বা সুপার রিচের সংখ্যা যদি ধরা হয়, তাহলে ভারতের স্থান বিশ্বে বেশ উপর দিকেই। ধনকুবেরদের আবাসস্থল হিসাবে ভারতের স্থান বিশ্বে তৃতীয়।
আরও শুনুন: ১১৫ ফুট মন্দির তৈরি হল রাতারাতি, ‘ভূতের মন্দির’ এখনও শিহরিত করে পর্যটকদের
যে শ্রেণির ধনকুবেরদের সেন্টি-মিলিওনারি হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে, ভারতে তাঁদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। এই নিরিখে ভারতের আগে আছে মার্কিন মুলুক আর চিন। বিশ্বে এই ধরনের ধনকুবেরের সংখ্যা ২৫,৪৯০ জন। ভারতে তাঁদের সংখ্যা ১১৩২। মার্কিন মুলুকে আছে ৯৭৩০ জন, চিনে ২০২১ জন। ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসরি ফার্মের এই রিপোর্ট বলছে, এই নিরিখে ব্রিটেন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। এই প্রবণতা যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী এক দশকে এশিয়া জুড়ে এই ধনকুবেরদের সংখ্যা ইউরোপের থেকে বাড়বে তো বটেই, দ্বিগুণও হতে পারে।
আরও শুনুন: গান্ধী নয়, এবার নোটে নেতাজির ছবি রাখার দাবি হিন্দু মহাসভার
আবার যদি শহরের নিরিখে ধরা যায়, তবে ধনকুবেরদের অধিকাংশের আবাসস্থল নিয় ইয়র্ক। তালিকায় এর পরেই আছে সান ফ্রান্সিসকো, লন্ডন ইত্যাদি শহর। ভারতের মুম্বইও জায়গা করে নিয়েছে এই তালিকায়। সুপার-রিচদের বাজারের চাহিদা, অর্থলগ্নির নিরিখেই এই সমীক্ষা জানান দিচ্ছে তাঁদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ভারতের মতো দেশ, যেখানে অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছেন, সেখানে ধনকুবেরদের এই পরিসংখ্যান রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতোই।