শুধু চাঁদ নয়। চাইলেই মঙ্গল কিংবা শুক্রগ্রহের মাটিও ছুঁতে পারবে ভারত। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন ইসরো প্রধান। কিন্তু সমস্যা একটাই। যা মেটাতে পারলে ভারত আবার জগৎসভার শ্রেষ্ঠ আসনে বসবে। ঠিক কোন সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়েছে ভারত। ‘চন্দ্রযান-৩’ (Chandrayaan 3) -এর সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। খোদ প্রধানমন্ত্রীও ইসরো(Isro) গিয়ে বাহবা জানিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীদের। তবে এই সাফল্য যথেষ্ট নয়। চাইলে মঙ্গল কিংবা শুক্র গ্রহের মাটিও ছুঁতে পারেন তাঁরা। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন ইসরোর চেয়ারম্যান। কিন্তু তা এখনই সম্ভব নয়।
আরও শুনুন: চাঁদ ছোঁয়ার স্পর্ধায় শরিক, একটা ‘কালো’ ঘটনা কি মুছতে পারে যাদবপুরের ‘আলো’?
কেন জানেন?
সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ইসরো প্রধান নিজেই। চন্দ্রযান ২-এর ব্যর্থতায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর অধিকাংশ বিজ্ঞানীই। ব্যতিক্রম ছিলেন না তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. কে সিভান। তবে সেসময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মানসিক বল জুগিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(P M Narendra Modi)। নিজে উপস্থিত থেকে সাহস দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীদের। ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) -এর সাফল্যের পরও বদলায়নি সেই ছবি। বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাতে নিজেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ইসরো। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের নাম আরও উজ্জ্বল করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন বিজ্ঞানীদের। এরপরই এমন বিস্ফোরক দাবি শোনা গেল ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান এস. সোমনাথের (S. Somanath) গলায়। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ইসরো চাইলেই মঙ্গল কিংবা শুক্রগ্রহের মাটিতেও পৌঁছাতে পারবে। প্রয়োজন শুধু বিনিয়োগের। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, মহাকাশ গবেষণায় যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন। যা না থাকলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় পাল্লা দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই ভবিষ্যতে এই বিষয়ে উন্নতির জন্য আরও বিনিয়োগ করার কথা বলেছেন ইসরো প্রধান। তাঁর দাবি, মহাকাশ বিজ্ঞানে উন্নতি হলে গোটা দেশের উন্নতি সম্ভব। চন্দ্রযান ৩-এর মতোই আবার ইসরোর সাফল্যে ভারতবাসী গর্বিত হওয়ার সুযোগ পাবে। যা বিনিয়োগ ছাড়া অসম্ভব। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কথাও উল্লেখ করেন সোমনাথ। মোদি যেভাবে আগামী দিনে ইসরোর উন্নতির কথা ভেবেছেন, তা শুধুমাত্র পর্যাপ্ত বিনিয়োগের ফলেই সম্ভব হবে। এমনটাই দাবি ইসরো প্রধানের।