‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে রাহুল গান্ধীকে দুবছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। খারিজ হয়েছে তাঁর সাংসদ পদও। এই সবকিছুই আসলে রাহুলের কর্মফল, এই মর্মে এবার সরব হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর কথায় কি রয়ে গেল আরও কোনও ইঙ্গিত? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক কেরিয়ারে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত। মোদিকে নিয়ে দেশে বিদেশে সমালোচনার জেরে এমনিতেই শাসক দলের নিশানায় ছিলেন তিনি। আর মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই সম্প্রতি বেকায়দায় পড়েছেন কংগ্রেস নেতা। একদিকে কারাবাসের সাজা, অন্যদিকে সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার জোড়া দুঃসংবাদ। এই পরিস্থিতিতে এবার রাহুলকে নিয়ে মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর সাফ কথা, নিজের কর্মফলেই ভুগতে হচ্ছে হাত শিবিরের নেতাকে। তিনি আরও বলেছেন, কর্ম যদি পালটা আঘাত করে, তাহলে গেরুয়া শিবিরের কী দোষ?
আরও শুনুন: রাহুলের মন্তব্যে বিপাকে কংগ্রেস! হাত-শিবিরের অন্দরেই অসন্তোষ, ফাঁস কিরেণ রিজিজুর
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়েই তিনি টেনে এনেছিলেন ব্যাঙ্কলোন নিয়ে পলাতক নীরব মোদি কিংবা আইপিএল বিতর্কে জড়ানো ললিত মোদির নাম। প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরদের পদবি মোদি কেন? অবশ্য এর আগেও ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলে নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু মোদি-মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সুরাট জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধান এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তারপরেই এই ইস্যুতে মুখ খুলে রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর কথায়, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনেকেই হঠাৎ করে কোনও কথা বলে বসেন, যা কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। কিন্তু তার পরে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত বলেই দাবি তাঁর। আসলে রাহুলের ওই মন্তব্য গোটা ওবিসি সম্প্রদায়কে আঘাত করেছে বলেই প্রচার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই সাংসদ পদ খারিজ হওয়াকে রাহুলের কর্মফল বলে দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও শুনুন: রাম আসলে আল্লার পাঠানো দূত, বিস্ফোরক দাবি কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার
তবে তাঁর কথায় আরও কোনও ইঙ্গিত রয়ে গিয়েছে কি না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। আসলে অনেক সময়েই বিজেপি নেতাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির উপরে অবতারত্ব আরোপ করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। কর্মফল কথাটি সাধারণত দৈবী ঘটনা প্রসঙ্গেই ব্যবহার করা হয়। তাই কর্মফলের প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদিকে প্রকারান্তরে অবতার বলেই কি ইঙ্গিত করলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা? জল্পনা উসকে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।