স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে খিটিমিটি লেগেই থাকে, এ আর নতুন কথা কি! ঝামেলা জোরদার হলে অনেক সময় তা বিচ্ছেদের দিকেও গড়ায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। কিন্তু তাই বলে স্ত্রী স্নান না করায় একেবারে বিচ্ছেদ চেয়ে বসবে স্বামী! শুনতে বেশ অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি।
একটা সম্পর্কের ভিতর বিচ্ছেদ নেমে আসুক, এমন পরিণতি আর কে চায়! কিন্তু কখনও সখনও এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যে, এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি এড়ানো যায় না। এটা ওটায় কখন যেন চিড় ধরে দাম্পত্যে। বাড়তে থাকে দূরত্ব। শেষমেশ ডিভোর্স এসে মুক্তি দেয় বিষিয়ে ওঠা একটা সম্পর্ককে। একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, যেখানে এই চূড়ান্ত পরিণতি নেমে আসে, তার নেপথ্যে থাকে গুরুতর কিছু কারণ। যেগুলো কোনোটিই হেলাফেলার নয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিচ্ছেদের ঘটনা শুনে হতবাক হল নেটিজেনরা। অবাক হওয়ার মতো কথাই বটে। আর কিছু নয়, এখানে অভিযোগ স্নান না-করার। অর্থাৎ, দিনের পর দিন স্নান করে না স্ত্রী। অনেক বলে কয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষমেশ তাই নাকি ডিভোর্সের আবেদন করেছেন স্বামী।
আরও শুনুন: সপ্তাহের শেষে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, দুর্যোগের দিনে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন?
ভদ্রলোক উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা। তাঁর সাফ কথা, দু-বছর হল বিয়ে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু স্ত্রী নিয়মিত স্নানই করে না। এমন নয় যে তিনি স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেননি। অনেক বলেছেন, বুঝিয়েছেন, শেষমেশ হাল ছেড়ে দিয়েছেন। ভদ্রলোকের তাই দাবি, এভাবে তো চলতে পারে না। অতএব, এবার বিচ্ছেদ চান তিনি।
আরও শুনুন: নারীপ্রগতির মশাল জ্বালিয়ে চলে গেলেন কমলা ভাসিন
কিন্তু স্বামী চাইলেই স্ত্রী তা মেনে নেবেন কেন? এক বছরের একটি বাচ্চাও রয়েছে তাঁদের। বিয়েটা যাতে টিকে যায়, এই আশা নিয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছে নারীসুরক্ষা সেলের। এদিকে, স্বামীও কম যান না। তাঁর বিচ্ছেদ চাওয়ার পিছনে যে যথেষ্ট যুক্তি আছে সে কথা নারী সুরক্ষা সেলের কাছে গিয়ে জানিয়েও এসেছেন তিনি। আর যা জানানোর তা জানিয়েছেন একেবারে লিখিতভাবেই। সেখানে তিনি স্পষ্ট করেই লিখে দিয়েছেন যে, প্রতিদিনই এই নিয়ে ঝামেলা হয় বাড়িতে। শেষপর্যন্ত স্ত্রী তাঁর কথা শোনেই না। অতএব বিচ্ছেদ ছাড়া এখানে দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই!
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।