ট্রেনের এসি কামরায় চাদর আর কম্বল দেওয়া হয়। কিন্তু সেসব পরিষ্কার তো? সন্দেহ থাকে অনেকের মনে। সম্প্রতি বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সংসদে। সপ্তাহে কতবার পরিষ্কার করা হয় ট্রেনে দেওয়া চাদর, কম্বল, জানতে চাওয়া হয় রেলমন্ত্রীর কাছে। জবাবে কী বললেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বাইরে বেরোলেই যা খুশি খাওয়া নয়। জল খেলেও তা শুধুমাত্র সিলড বোতলের। যত্রতত্র টয়লেট ব্যবহারেও বেজায় আপত্তি অনেকের। অবশ্য, শরীর সুস্থ রাখতে এতটুকু সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরাই। সেই হিসাবে ট্রেনযাত্রায় দেওয়া চাদর কম্বল ব্যবহারেও সতর্ক থাকেন কেউ কেউ। এই সমস্যা মেটাতে এবার আসরে নামলেন খোদ রেলমন্ত্রী। ট্রেনে দেওয়া চাদর কম্বল সপ্তাহে কতবার পরিষ্কার করা হয়, সেই হিসাব দিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ রেলমন্ত্রীকে কেন এমন একটা বিষয়ে কথা বলতে হল?
আর কোনও উপায় ছিল না। কারণ, এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল সংসদে। উত্তর জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ। কাজেই সবটা খোলসা করে বলতেই হতো রেলমন্ত্রীকে। তাঁর দাবি, ট্রেনযাত্রায় দেওয়া কম্বল প্রতি মাসে একবার করে পরিষ্কার করা হয়। এছাড়া থাকে দুটি চাদর, সেসবও নিয়মিত পরিষ্কার হয় বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। আসলে, রেলমন্ত্রী হিসেবে যোগদানের পর থেকে বহু বিতর্কের মোকাবিলা করতে হয়েছে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় তাঁকে তোলা হয়েছে কাঠগড়ায়। প্রশ্ন উঠেছে যোগ্যতা নিয়ে। বিরোধীরা পদত্যাগের দাবি অবধি তুলেছেন বারবার। তবু শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন অশ্বিনী। সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে একাধিক সাফাই দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিগত দশবছরে রেল দুর্ঘটনার পরিমাণ ৭০ শতাংশ কমেছে। তথ্য প্রমাণ সহ সেইসব জানিয়েছেন অশ্বিনী। একইসঙ্গে ট্রেনের অন্দরের পরিবেশ নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তাতেই ওঠে ট্রেনযাত্রায় দেওয়া কম্বল বা চাদরের প্রসঙ্গ। কংগ্রেস সাংসদ জুড়ে দেন পরিস্কারের প্রসঙ্গ, তাতেই উত্তর দেন রেলমন্ত্রী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামীদিনে রেলযাত্রায় আরও বেশি সহজ হবে। ট্রেনের অন্দরের পরিষেবাও অনেক উন্নত করা হবে। বর্তমানে যে ধরনের চাদর বা কম্বল দেওয়া হয় সেসব বদলানো হবে সত্ত্বর। নতুন কম্বল অনেক বেশি হালকা এবং উন্নত মানের হবে। বাড়িতে ব্যবহার করা কম্বল আর রেলের কম্বল আলাদা হবে এমনটাই স্বাভাবিক। তবে রেলমন্ত্রীর দাবি, এবার এমনটা মনে নাও হতে পারে। কারণ ট্রেনে দেওয়া কম্বলের মানও যথেষ্ট ভালো হবে। আরও বেশি সংখ্যায় মানুষজন রেলযাত্রা করুন, এমনটাই চাইছেন রেলমন্ত্রী। যেসব কারণে অনেকের মনে ট্রেন নিয়ে ভয় জন্মেছে তা কাটাতে পারলেই এমনটা সম্ভব হবে। তাই সবরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী ও ভারতীয় রেল।