ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ভোটদানের অধিকার রয়েছে। কিন্তু বুথে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। শারীরিক অক্ষমতাকে উপেক্ষা করে কেউ যদি পৌঁছেও যান, ভোট দিতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন। এতদিন এই ধরনের অভিযোগে সরব হতেন দেশের প্রতিবন্ধীদের অনেকেই। এবারের নির্বাচনেও কি ছবিটা এক? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
চলতি নির্বাচনে ভোটারদের সুবিধার্থে একাধিক নিয়ম জারি করেছে কমিশন। তালিকায় গরম মোকাবিলা করার ব্যবস্থা যেমন রয়েছে, বাড়ি থেকে ভোট দেওয়ার পদ্ধতিও চালু হয়েছে। ভোটদানের হার বাড়ানোর লক্ষে পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থাও করেছে কমিশন। তবু কোথাও যেন খামতি থেকেই যাচ্ছে। আর এই দাবি দেশের প্রতিবন্ধীদের একাংশের।
আরও শুনুন: মাছ, মঙ্গলসূত্র, মন্দিরেই কথা শেষ! ৬.৫ লক্ষ শব্দের প্রচারে ‘চাকরি’ কোথায়? প্রশ্ন মোদিকে
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় ভোটদানের হার কমেছে। যদিও এতে কমিশনকে দোষ দেওয়া যায় না বলেই মনে করছেন সকলে। কারণ দেশের জনতাকে ভোটদানে উৎসাহ জোগাতে চেষ্টার খামতি রাখেনি কমিশন। ব্যবস্থা করা হয়েছে একাধিক। গরমে কেউ যেন অসুস্থ না হয়ে পড়েন, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। প্রতি বুথে জল, বসার জায়গা এইসবই নিশ্চিত করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে চালু হয়েছে বাড়ি থেকে ভোটদানের ব্যবস্থা। মূলত বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে ভোট দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এখানেই থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন! যে পদ্ধতিতে বাড়িতে বসে ভোটদানের সুবিধা মিলবে তা অনেকের কাছেই সহজ নয়। অর্থাৎ ঠিক কীভাবে কোথায় আবেদন জানাতে হবে সে নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর সেই থেকেই আসছে অসুবিধার অভিযোগ। এত ব্যবস্থার পরেও, সম্পূর্ণ সুষ্ঠ ভাবে ভোট দিতে পারছেন না বলেই অভিযোগ একাংশের।
আরও শুনুন: প্রার্থী হতে পারেন, কিন্তু ভোট দেওয়ার অধিকার নেই জেলবন্দিদের, কেন?
কমিশনের হিসাব বলছে, চলতি নির্বাচনে ৯০ লক্ষেরও বেশি প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছেন। বাস্তবে এঁরা সকলেই বাড়ি থেকে ভোটদানের সুবিধা পাচ্ছেন কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে এমন ছবিও ধরা পড়ছে, যেখানে ভোট দিতে গিয়ে এখনও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন কিছু প্রতিবন্ধী। যদিও বুথে উপস্থিত আধিকারিকরা সাহায্য করছেন এমনটাও স্বীকার করছেন তাঁরা। কিন্তু একেবারে সহজ হয়নি সবটা, এখনও। এর আগে ২০১৯ এর নির্বাচনে ভোটদানে একাধিক সুবিধার ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। এবার তার থেকেও খানিক এগিয়ে বাড়ি থেকে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেই পদ্ধতি, অর্থাৎ আবেদন করার ধরণ বা অন্যান্য কাজকর্ম সম্পর্কে ততটাও ওয়াকিবহাল হতে পারছেন না অনেকেই। তাতেই সমস্যা একেবারে নির্মূল হতে পারছে না।