মাংস খেতে হবে ধর্মের রীতি রেওয়াজ মেনেই। সাফ নির্দেশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর। ধর্মীয় কারণেই মুসলিমরা যেমন ‘হালাল’ মাংসই খান, তেমনই সনাতন ধর্ম মেনে হিন্দুদের ‘হালাল’-এর বদলে ‘ঝটকা’ মাংস খাওয়া উচিত, নিদান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। শুনে নেওয়া যাক।
মুসলিমদের মতোই ধর্মীয় রীতি মেনে মাংস খাওয়া উচিত হিন্দুদেরও। সনাতন ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে এবার এমনই বিধান দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। গিরিরাজ সাফ জানিয়েছেন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে কেবলমাত্র হালাল মাংসই খান মুসলিমরা। তেমনই সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বলি প্রথার ধরন মেনে ঝটকা মাংসই খাওয়া উচিত হিন্দুদেরও। অন্যরকম মাংস খাওয়াকে কার্যত ধর্মের প্রতি অসম্মান বলেই দাগিয়ে দিতে চাইলেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘আরও বেশি সন্তানের জন্ম দিন’, সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে ‘দাওয়াই’ ধর্মগুরুর
আসলে কোনও পশুকে মারার একটি বিশেষ পদ্ধতিকেই হালাল বলা হয়। ইসলাম ধর্মে অনুশাসন রয়েছে যে, সেইভাবে মারা পশুর মাংসই মুসলিমদের খাওয়া উচিত। সাম্প্রতিক কালে এই হালাল মাংস নিয়ে কম বিতর্কও হয়নি। কখনও যোগীরাজ্যে হালাল মাংস নিষিদ্ধ করার কথা শোনা গিয়েছে তো কখনও হালাল মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন হিন্দুত্ববাদীরা। এবার হিন্দুদের হালাল মাংস খাওয়ার ব্যাপারে প্রবল আপত্তি তুললেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে হালাল মাংস নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। এবার বিহারের বেগুসরাইয়ে এক সমাবেশ থেকে বিজেপি সাংসদ মন্তব্য করেছেন, নিজের ধর্মকে জলাঞ্জলি দিয়ে হালাল মাংস খাওয়া উচিত নয়। এদিকে সনাতন ধর্মে বলি প্রথা অনুযায়ী যেভাবে পশুকে মারার কথা বলা আছে, তাতে আড়াই কোপের বদলে একবারই আঘাত করা হয়। এইভাবে মারা পশুর মাংসকে চলতি কথায় ঝটকা বলা হয়। নিজের ধর্মের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সেই মাংসই খাওয়া উচিত হিন্দুদের, অন্য ধর্মের রীতি অনুযায়ী কাটা মাংস নয়, নিদান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
আরও শুনুন: শুধু অযোধ্যা নয়, রাম মন্দির উদ্বোধনে বিশেষ অনুষ্ঠান আমেরিকাতেও, কী হবে জানেন?
যদিও মুসলিমদের প্রতি কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেননি গিরিরাজ সিং। উলটে তিনি বলেছেন, মুসলিমরা যে মাংস ভক্ষণের ক্ষেত্রেও এভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন সেই বিষয়টিকে শ্রদ্ধা করেন তিনি। আর সেইভাবেই হিন্দুদেরও নিজের ধর্ম মেনে চলার কথাই ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা।