মুসলিমদের মতো হিন্দুদেরও উচিত কমবয়সি মেয়ে বিয়ে করা। এমনটাই নিদান দিলেন এআইডিইউএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। জনসংখ্যা প্রসঙ্গে এহেন মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন এই মুসলিম নেতা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
মুসলিমদের দেখানো পথ ধরেই কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে করা উচিত হিন্দু ব্যক্তিদের, সম্প্রতি এমন নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন এক মুসলিম নেতা। তাঁর কথায়, বিয়ের আগে দু-তিনজন মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখে হিন্দুরা, কিন্তু তারা সন্তানের জন্ম দেয় না। তাই জনসংখ্যা বাড়াতে চাইলে মুসলিমদের নীতিই অনুসরণ করা উচিত, এমনটাই মত এআইডিইউএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল-এর। এই মন্তব্যের জেরে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক উসকে উঠেছে নানা মহলে।
আরও শুনুন: হার মানবে সিনেমাও! জীবনবিমার ২ কোটি টাকা পেতে স্ত্রীকে খুনের নিখুঁত ছক ব্যক্তির
শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ডের পর ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তার পালটা দিতে গিয়েই এবার এহেন মন্তব্য করে বসলেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট তথা এআইডিইউএফ-এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। জোর করে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই লাভ জিহাদের উদ্দেশ্য, এমনটাই অভিযোগ হিন্দুত্ববাদীদের। এর প্রেক্ষিতে ওই মুসলিম নেতার সাফ কথা, উর্বর জমিতে কর্ষণ করলে তবেই তো ভাল ফসল মিলবে। হিন্দুরা বিয়েই করে অনেক বেশি বয়সে। বিয়ের আগে তারা একাধিক সঙ্গিনীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের আনন্দ উপভোগ করে, অথচ সন্তানের জন্ম দেয় না। ৪০ বছর বয়সের পর পারিবারিক চাপে তারা বিয়ে করতে বাধ্য হয়। এই বয়সের পর কি সন্তানের আশা করা যায়? উলটো দিকে তাঁর দাবি, মুসলিমদের মধ্যে অল্প বয়সেই বিয়ের প্রচলন রয়েছে। আইনমাফিক মেয়েদের সাবালিকা হওয়ার বয়স, অর্থাৎ ১৮ বছরেই তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি মুসলিম পুরুষেরাও ২০-২২ বছর বয়সেই বিয়ে করে বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘লাভ জিহাদ’-এর জেরে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বাড়ছে, এর পালটা দিয়ে ওই নেতার বক্তব্য, মুসলিমদের মতো হিন্দুরাও কম বয়সে বিয়ে করুক, যাতে একাধিক সন্তান জন্মের পথে কোনও বাধা না থাকে। এমনকি সরাসরি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেছেন, “ক্ষমতা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চার-পাঁচটা লাভ জিহাদ করুন, আমরা বাধা দেব না।” যদিও প্রতিবাদের মুখে পড়ে সাফাই দিয়েছেন ওই নেতা, তবে তাঁর এই মন্তব্যে আরও উসকে উঠল লাভ জিহাদ বিতর্ক, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।