আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দিতে হবে। হিন্দুদের সাফ নির্দেশ দিলেন এক ধর্মগুরু। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই নাকি এহেন দাওয়াই বাতলে দিয়েছেন তিনি। শুনে নেওয়া যাক।
সনাতন ধর্ম ইস্যুতে সাম্প্রতিক কালে বারে বারেই শোরগোল পড়েছে দেশে। কোনও রাজনৈতিক নেতার মুখে শোনা গিয়েছে সনাতন ধর্মকে বাতিল করার বুলি, তো কোনও ধর্মীয় নেতা আবার সনাতন ধর্মের পক্ষে দাঁড়িয়ে পালটা তোপ দেগেছেন। আবার সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার কথা বলে অনেকসময়ই হিন্দুদের জন্য নানারকম নির্দেশ জারি করেছেন কেউ কেউ। সেই তালিকাতেই এবার নয়া সংযোজন। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার জন্য হিন্দুদের আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দিতে হবে, এই মর্মে সম্প্রতি প্রায় নির্দেশ জারি করলেন এক ধর্মগুরু।
ঠিক কী ঘটেছে?
আরও শুনুন: পিরিয়ডস কি কারও ‘চয়েস’ নাকি! ঋতুকালীন ছুটি নিয়ে স্মৃতিকে পালটা দিলেন কবিতা
সম্প্রতি এক ধর্মসভায় বক্তৃতা রাখছিলেন মহামণ্ডলেশ্বর যতি নরসিংহানন্দ গিরি মহারাজ। সেই সময়েই উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার কথা। আর ধর্ম এবং পরিবার উভয়কে রক্ষা করার জন্যেই দাওয়াই বাতলে দেন তিনি। বেশি করে সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং সেভাবে হিন্দুদের জনসংখ্যা বাড়ানো, এ ছাড়া সনাতন ধর্মকে রক্ষা করা যাবে না বলেই দাবি ওই ধর্মগুরুর।
এমনিতে হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দুরা বিপন্ন বলে বারে বারেই দাবি করে থাকেন হিন্দুত্ববাদীরা। আর সেই বিপন্নতার অভিযোগ তুলে অনেকসময়ই নিশানা করা হয় মুসলিমদের। বিশেষ করে মুসলিমদের একাধিক বিয়ে এবং সেই সূত্রে বেশি সন্তান থাকার প্রসঙ্গ তুলে দাবি করা হয়, জনসংখ্যা বাড়িয়েই হিন্দুদের কোণঠাসা করতে চায় মুসলিম সম্প্রদায়। এই যুক্তিতেই ভিনধর্মের মধ্যে প্রেম কিংবা বিয়ের মতো ঘটনা ঘটলে তাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে দাগিয়ে দিতে চান হিন্দুত্ববাদীরা। জোর করে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই লাভ জিহাদের উদ্দেশ্য, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। এর পালটা হিন্দুদেরও জনসংখ্যা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে বলে নিদান দিয়েছেন এই ধর্মগুরু।
আরও শুনুন: বাড়িতে অতিথি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম বিজেপি নেতা ইনিই… কে জানেন?
এর আগে ‘লাভ জিহাদ’ তত্ত্বের বিরোধিতায় হিন্দুদের একহাত নিয়েই মুসলিম নেতা বদরুদ্দিন আজমল বলেছিলেন, জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য মুসলিমদের মতো কমবয়সি মেয়ে বিয়ে করুক হিন্দুরা, এবং বেশি সন্তানের জন্ম দিক। সেই সময়ে ওই মন্তব্যের পালটা দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাফ বলেছিলেন, মাতৃগর্ভ কোনও চাষের জমি নয় যে সেখানে যত ইচ্ছে ফসল উৎপাদন করা হবে। সেখানে এই ধর্মগুরুর এহেন মন্তব্যে খানিক উসকে উঠল পুরনো বিতর্কও।