নতুন বছরের শুরুতেই মভাকুম্ভ! আর সেখানেই হতে পারে ধর্মান্তরণ। এমনটাই আশঙ্কা মুসলিম ধর্মগুরুর। এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। ঠিক কেন এই আশঙ্কার কথা ভাবছেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
শুধু কুম্ভ নয়, চলতি বছরে বসছে মহাকুম্ভ! তাই আয়োজনও নেহাতই কম নয়। মনে করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোটি কোটি ভক্ত ভিড় জমাতে পারে কুম্ভমেলায়। নিরাপত্তায় এতটুকু খামতি রাখতে নারাজ প্রশাসন। তবে মেলা শুরুর আগেই তৈরি হয়ে নয়া বিতর্ক। অভিযোগ, এই মেলায় হতে পারে ধর্মান্তরণ। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগ হিন্দুদের বিরুদ্ধে।
যোগীরাজ্যে ধর্মন্তরণের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও বহুবার জোর করে ভিনধর্মে রুপান্তর করানো হয়েছে, এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিশানায় থাকেন মুসলিমরা। হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে তার ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়, এমন ঘটনা আখচার শোনা যায় যোগীরাজ্যে। তবে এবার যেন উলটপুরাণ! অর্থাৎ হিন্দুধর্মে জোর করে রুপান্তর করানো হবে এমনই আশঙ্কা করছেন মুসলিম ধর্মগুরু। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে চিঠিও পাঠিয়েছেন ওই মুসলিম ধর্মগুরু। সেখানে উল্লেখ করেছেন, আসন্ন কুম্ভমেলায় বড় সংখ্যায় মুসলিমকে ধর্মান্তরণ করা হবে। এক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদীদেরই দুষেছেন তিনি। সেইসঙ্গে এই আশঙ্কাও করেছেন, এমনটা হলে রীতিমতো সমস্যা হতে পারে।
যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত অখিল ভারত আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবিন্দ্র পুরীর মন্তব্যে। তিনিই সর্বপ্রথম এই ‘ঘর ওয়াপসি’র তত্ত্ব প্রকাশ্যে আনেন। যদিও এই শব্দ বন্ধ তিনি সরাসরি ব্যবহার করেননি। তাঁর কথায় সেই আভাস মিলেছে মাত্র। মহন্ত বলেছেন, আসন্ন কুম্ভমেলায় মুসলিম, খ্রিস্টান সহ ভিনধর্মের যে কেউ সনাতনে ফিরে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে যারা ধর্ম বদলেছেন তাদেরই নির্দেশ করেছেন মহান্ত। তবে তাঁর কথায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে যে, আসন্ন কুম্ভমেলায় ভিনধর্মের অনেককে জোর করে হিন্দু করা হবে! মুসলিম ধর্মগুরুও সরাসরি এই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। চিঠি লিখে প্রশাসনকে পদক্ষেপের আরজিও জানিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে হিন্দু ধর্মগুরুর দাবি, কাউকে জোর করে ধর্মান্তরণ করানোর কথা বলা হয়নি। কেউ স্বেচ্ছায় এমনটা করতে চাইলে তবেই হবে। দেশের আইনও সেই কথাই বলে। ধর্ম বদল করতে চাইলে সবার আগে জানাতে হয় জেলাশাসককে। প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র এবং সরকারি কাজকর্ম সারা হলেই অনুমতি মেলে ধর্ম পরিবর্তনের। এবং এই পদ্ধতি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তা সত্ত্বেও কেন এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হিন্দু মহন্ত। তবে বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। যা কুম্ভমেলায় নয়া বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।