লোকসভার আগে কি অশনি সংকেত? পাঁচ রাজ্যের বিধানসভায় বড় ধাক্কার পর এবার কর্নাটকেও নাকি ভাঙন ধরতে পারে হাত শিবিরে। অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন জেডিএস সুপ্রিমো কুমারস্বামী। ঠিক কী বলেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা। দেশজোড়া ভোট কুড়িয়ে মসনদ দখল করতে ঝাঁপাচ্ছে সব দলই। একদিকে যেমন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ফের সিংহাসনে ফিরতে মরিয়া, তেমনই বিরোধী দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে পালটা লড়াই দিতে চাইছে কংগ্রেসও। যদিও লোকসভার আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিপরীক্ষা করতে গিয়ে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। মাত্র একটি রাজ্যে তারা ক্ষমতা দখল করতে পারলেও, তিন রাজ্যে জয়ের হাসি হেসেছে বিজেপি। আর এবার, কংগ্রেসশাসিত কর্নাটকেও ভাঙন ধরতে পারে হাত শিবিরে, এমনটাই ইঙ্গিত জেডিএস সুপ্রিমো এইচডি কুমারস্বামীর। তাঁর দাবি, সিদ্দারামাইয়া সরকারের এক মন্ত্রী এবার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তাঁর সঙ্গে শামিল হতে পারেন ৫০ থেকে ৬০ জন কংগ্রেস বিধায়কও। সুতরাং ভোটে জিতে কর্নাটকে গদি দখল করলেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই কংগ্রেস, এমনটাই দাবি জেডিএস নেতার।
আরও শুনুন: ‘ধর্মের নামেই ভোট চাইব’, বিজেপির জয়ে ‘শিক্ষা’ নিয়ে নয়া ভাবনা উদ্ধবের
কংগ্রেসের আধমরা গাঙে নতুন জোয়ার এনেছিল কর্নাটক বিধানসভার ফল। শুধু তা-ই নয়, আসনপ্রাপ্তি এবং ভোটের হারের নিরিখেও মিলেছিল আশাতীত সাফল্য। সত্যি বলতে, চার দশক পরে রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপির কিছু ভোট নিজেদের অনুকূলে টানার পাশাপাশি রাজ্যের আঞ্চলিক দল জেডিএস-এর ভোটব্যাঙ্কে ভালোরকম থাবা বসিয়েছিল হাত শিবির। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা ভোটের আগে এই জয়কে বড় গুরুত্ব দিয়েই দেখছিল কংগ্রেস সহ রাজনৈতিক মহল। যদিও তারপর থেকে বারে বারেই নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশে কড়া তোপ দাগতে ছাড়েননি জেডিএস সুপ্রিমো। কখনও পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি নিয়ে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে, কখনও আবার দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন। আর এবার সরাসরি হাত শিবিরে ভাঙন নিয়েই ভবিষ্যদ্বাণী করে বসলেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সব মিলিয়ে, লোকসভার আগে রাজনৈতিক মহলের সমীকরণ ঠিক কী দাঁড়াচ্ছে, আপাতত সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।