দেশের জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে ধন্দ! তবে হরিয়ানায় গো-রক্ষা বাজেট ১০ বছরে বেড়ে ৫১০ কোটি

ছিল ২ কোটি। হল ৫১০ কোটি। মাঝে কেটেছে বিজেপি শাসনের ১০টি বছর। গোটা দেশের জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে যেখানে হাজারও ধন্দ, সেখানে হরিয়ানা গো-রক্ষার বাজেট-বৃদ্ধি রীতিমতো তাক লাগানোর মতোই।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ আর্থিকবর্ষে হরিয়ানার ‘গো সেবা আয়োগ’-এর বাজেট বেড়েছে প্রায় ২৫০ গুণ। ২০১০ সালে এই আয়োগের জন্ম। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে আয়োগের বাজেট ছিল ২ কোটি। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১০ কোটিতে। এই আয়োগ তৈরি হয়েছিল পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের আমলেই। তবে বিজেপি জমানায় তা অন্য মাত্রা পেয়েছে। আয়োগের কাজ ও সক্রিয়তা দুই-ই বেড়েছে অনেকখানি। মনোহর লাল খট্টর যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখনই তিনি এই আয়োগের উপর জোর দেন। জোর দেন গো-রক্ষায়। তবে একই সঙ্গে গো-রক্ষার নামে রক্ষাবাহিনীর কাজকর্ম সমালোচনার মুখেও পড়ে। তা নিয়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে, তাতে আয়োগের কাজকর্মে অবশ্য লাগাম পড়েনি। বরং খট্টরের আমলেই তা অনেকটা প্রসারিত হয়।

আরও শুনুন: অমৃতকুম্ভের সন্ধানে… প্রতিদিন ১ লক্ষ ভক্তকে মহাপ্রসাদ খাওয়াতে হাতে হাত ইসকন-আদানির

এক দশক পেরিয়ে সেই আয়োগের বাজেটবৃদ্ধিই বলে দিচ্ছে এই ক্ষেত্রে কতটা জোর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিং সৈনিও গো-রক্ষা এবং সেই সূত্রে গড়ে ওঠা শিল্পের উপর জোর দিয়েছেন। গোমূত্র ও গোময় ব্যবহার করে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, যা কর্মসংস্থানেরও সুলুক দিচ্ছে। গোশালাগুলো যাতে ভালোভাবে চলতে পারে, তার জন্যও বরাদ্দ হয়েছে আর্থিক প্যাকেজ। ফলত রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। তাতে রাস্তায় দুর্ঘটনা কমবে বলেও আশা হরিয়ানার মানুষের। দেখা গেছে, গত ১০ বছরে সে কাজে অনেকটাই সফল হয়েছে হরিয়ানা। সব মিলিয়ে গো-রক্ষা বিষয়টি যে এক সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের রূপ নিয়েছে, তা স্পষ্ট। সেই অনুপাতে বেড়েছে বাজেটও।

গত দশ বছরে, বিজেপির আমলে হরিয়ানার গো-রক্ষা যে অন্য মাত্রা পেয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এবার সেখান থেকে পণ্য তৈরির পরিকল্পনা করে আয়োগের পরিধি আরও বাড়াচ্ছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। জিডিপি, দেশের মানুষের দৈনিক আয় ইত্যাদি নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং আলোচনা অর্থনৈতিক মহলে। সেখানে হরিয়ানার ৫১০কোটির গো-রক্ষা বাজেট যে দেশবাসীকে তাজ্জব করেছে, তা বলাই যায়।