সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে বসেছিল হ্যালোউইন পার্টির আসর। আর তাতেই নাকি ধাক্কা লেগেছে কলেজের শুচিতায়, এমনটাই মত ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের। রীতিমতো গঙ্গাজল ছিটিয়ে ক্যাম্পাসের পরিশোধন করেছেন তাঁরা। কোথায় ঘটেছে এহেন ঘটনা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্কুল কলেজে যেমন পড়াশোনা চলে, তেমনই আনন্দ-উৎসবের আঁচও সেখানে এসে পড়ে পড়ুয়াদের হাত ধরে। যেখানে দিনের অধিকাংশ সময়টাই কাটে, উৎসবের দিনেও সেই জায়গাকে ছুঁয়ে থাকতে চান তাঁরা। আর তাই, অনেকসময়ই সেখানেই মরশুমি উৎসবের আয়োজনও করেন। সম্প্রতি তেমনটাই করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। হ্যালোউইন পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। আর তা নিয়েই শুচিতা নষ্টের চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই রীতিমতো গঙ্গাজল ছিটিয়ে ক্যাম্পাস শুদ্ধ করেছেন তাঁরা।
কী ঘটেছে ঠিক?
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল কলেজে ঘটেছে এহেন ঘটনা। এমনিতে কলেজে কলেজে হোলি থেকে সরস্বতী পুজো এমন নানারকম ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন দেখা যায়। কোথাও কোথাও ইফতার পার্টি বা বড়দিনের উদযাপনও চলে। সেইভাবেই, হ্যালোউইন পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল এখানে। বিলিতি ঐতিহ্য মতে, এটি ভূত-আত্মাদের দিন। সেইমতোই নানারকম ভয়ের ছবি, কথা দিয়ে দেওয়াল সাজানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে হইচই ফেলে দেওয়া ‘স্ত্রী’ ছবির সংলাপও সেখানে দেখা গিয়েছে।
যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনোরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। ঘটনা জানাজানি হতেই পরিশোধনে তৎপর হয়েছেন তাঁরা। এই কলেজের কিং এডওয়ার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বাড়িটি প্রায় শ-দেড়েক বছরের পুরোনো। ব্রিটিশ আমলে, ১৮৭৮ সালে এটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই ভবনে এহেন আঁকিবুঁকি মেনে নেওয়া চলে না, সাফ জানাচ্ছেন কলেজের শীর্ষকর্তারা। তবে কেবল ছবি, আঁকা মুছে দিয়েই তাঁরা সন্তুষ্ট হননি। গঙ্গাজল ছিটিয়ে সেই ভবনটি শোধন করেছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। শুধু তাই নয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নামে এফআইআর দায়ের করার পথেও হাঁটছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।