বন্ধুত্বের ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খোয়ালেন গুরগাঁও-র এক তরুণী। তবে তাঁকে ঠকানো হয়েছে অভিনব কায়দায়। অনলাইনে আলাপ হওয়া এক বন্ধুকে বিশ্বাস করেই এমন জালিয়াতির শিকার হয়েছেন তিনি। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অনলাইনে আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি এমনই এক ফাঁদে পা দিয়ে, প্রায় ২ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন এক তরুণী। তাঁকে ঠকানো হয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছে এই অদ্ভুত কাণ্ড।
আরও শুনুন: ‘আমাদের দেশে তো রান্নার গ্যাস নেই!’, গ্যাসের দাম কমানোর আরজি শুনেই সাফাই নির্মলার
জানা গিয়েছে, গুরুগাঁও নিবাসী বছর ৩৫ এর এই তরুণী কিছুদিন আগেই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে নাম লিখিয়েছিলেন। সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। নিজেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই যুবক। কয়েকদিন কথা বলার পরই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ গাঢ় হয়। এরপরই উপহার পাঠানোর অছিলায় তরুণীর বাড়ির ঠিকানা জেনে নেন ওই যুবক। তিনি নাকি বিদেশ থেকে বহুমূল্য উপহার পাঠাবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন ওই তরুণীকে। এর কয়েকদিন পরই ওই তরুণীর কাছে অজানা নাম্বার থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, তাঁর জন্য কেউ বহুমূল্য উপহার পাঠিয়েছেন। যা আপাতত মুম্বই বিমানবন্দরে আটকে রয়েছে। অবিলম্বে তিনি যেন সেগুলি নিয়ে যান। তবে এমনি এমনি নয়, বিমানবন্দরের চার্জ হিসেবে ৩৮৫০০ টাকা পাঠাতে বলা হয় তরুণীকে। একইসঙ্গে এও জানানো হয়, তিনি যদি ওই টাকা না দেন তাহলে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হাজির হবে। প্রথমে কিছু না বুঝেই ওই টাকা পাঠিয়েও দেন তরুণী। কিন্তু এখানেই সমস্যার শেষ নয়। কিছুদিন পর আবার ফোন আসে ওই একই নম্বর থেকে। এবারেও তরুণীর কাছে টাকা চাওয়া হয়। তবে এবারে প্রায় আদেশের সুরেই দেড় লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয় তরুণীকে। একইভাবে পুলিশি হানার ভয়ও দেখানো হয়। তড়িঘড়ি ওই টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি। এভাবে ২ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে ঠকানো হচ্ছে। এরই মাঝে তাঁর কাছে আবার ফোন আসে। এবং এবারে একেবারে আড়াই লক্ষ টাকা দাবি জানানো হয় তাঁর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আরও শুনুন: উদ্ধার নগ্ন যুবতীর দেহ, খুন না আত্মহত্যা! ভূতের ক্লু পেয়েই ফাঁস হল রহস্য
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ শুনে ওই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ঘটনার নেপথ্যে মিজোরামের কোনও জালিয়াতি চক্রের হাত রয়েছে। তবে এখনও ওই যুবকের খোঁজ চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। আগেও বহুবার এমন অনলাইন জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পদ্ধতিকে অভিনব বলেই মনে করছেন অনেকে।