গুরুদ্বার বদলে ফেলা হয়েছে মুসলিম বিদ্যালয়ে। আর এই কাজ করা হয়েছে সরকারি নির্দেশেই। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তান সরকারের এমন দক্ষেপ। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। আসুন শুনে নিই।
শিখ ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনাস্থল, তবু ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে গুরুদ্বারে ভিড় জমান অনেকেই। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। পাকিস্তানের এক জনপ্রিয় গুরুদ্বারকে সম্পূর্ণভাবে বদলে ফেলা হয়েছে মুসলিম বিদ্যালয়ে। যা দেখার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
আরও শুনুন: গান্ধী বনাম সাভারকর! আদর্শের বিরোধ ফিরল, নাকি ভোটের ফাঁদেই দেশের রাজনীতি?
পাকিস্তানের সারগোধা এলেকার এক জনবহুল বাজারের মধ্যে এই গুরুদ্বারটি ছিল। এখনও তার চূড়ায় শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নিশান বর্তমান। তবে মূল ফটকের উপর একটি সাইনবোর্ড আটকানো। যেখানে উর্দুতে লেখা রয়েছে, ‘আম্বালা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়’। এই বিদ্যালয় যে সরকারি, সে কথাও ওই বোর্ডেই উল্লেখ করা আছে। যদিও ঠিক কবে থেকে ওই জনপ্রিয় গুরুদ্বার মুসলিম বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি এই গুরুদ্বারটির ছবি প্রকাশ্যে এনেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, শিখদের এই ধর্মস্থানকে জোর করেই মুসলিম বিদ্যালয়ে পরিণত করেছে পাকিস্তান সরকার।
আরও শুনুন: রাহুলের মন্তব্যে বিপাকে কংগ্রেস! হাত-শিবিরের অন্দরেই অসন্তোষ, ফাঁস কিরেণ রিজিজুর
পাকিস্তান সরকারের এহেন পদক্ষেপের জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। এমনিতেই সেই দেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচারের খবর প্রায়শই নজরে আসে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাও এ বিষয়ে তাঁদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে স্পষ্ট ধরা পড়েছে, সংখ্যালঘুদের প্রতি পাকিস্তান সরকার যথেষ্ট অসহিষ্ণু। তবে গুরুদ্বার বদলে ফেলার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিখদের মধ্যে। পাকিস্তান সরকারের এহেন আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁরা সকলেই।