পিকনিক করার জন্য নিরিবিলি জায়গাই পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু তাই বলে শ্মশান! ভাবতে পারেন, এমন একটা জায়গায় কেউ পিকনিক করছে! কিংবা দেদার প্রি-ওয়েডিং শ্যুট হচ্ছে! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। গুজরাটের এক শ্মশানে পিকনিক করতেই ভিড় জমাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। কী এমন আকর্ষণ রয়েছে সেই শ্মশানে?
অতি পবিত্র স্থান। তবু শ্মশানের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে চিরকালের জন্য ছেড়ে যাওয়া প্রিয় মানুষের মুখ। তবে গুজরাটের এই শ্মশানে গেলে এমনটা বোধহয় মনে হবে না। কারণ সেখানকার পরিবেশ তো আর পাঁচটা শ্মশানের মতো নয়। চারিদিকে লোকজন হয় পিকনিক করছেন, নাহলে প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করছেন!
আরও শুনুন: রমজানে আগে ছুটি মিলবে মুসলিমদের, বিহার সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির
কথা বলছি গুজরাটের দিশা শহরের একটি শ্মশান সম্পর্কে। ১৪ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এই শ্মশান তৈরি করতে প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তবে তা নামেই শ্মশান। মানুষের কাছে এর পরিচয় পিকনিক স্পট হিসেবেই। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ এখানে পিকনিক করতে আসেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের আগে প্রি-ওয়েডিং শ্যুটের জন্যও আদর্শ এই শ্মশান। এমনকি অনেকে জন্মদিনও পালন করেন এখানে। কিন্তু কী এমন রয়েছে এই শ্মশানে?
আরও শুনুন: হাত নেই, আছে স্বপ্ন! পা দিয়েই ছবি আঁকেন এই শিল্পী, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
এত বড় জায়গা থাকার ফলে, শ্মশানটিকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ফুলের গাছ। সুন্দর ভাষ্কর্য। বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তিও সেখানে রয়েছে। সব মিলিয়ে বড় কোনও মন্দির চত্বরের থেকে কোনও অংশে কম নয় এই শ্মশান। তাই অনেকের কাছে এই জায়গা ছবি তোলার আদর্শ স্থান বলে মনে হয়েছে। পাশাপাশি যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা থাকায় শ্মশানের ভিতর অনায়াসে পিকনিক করাও সম্ভব হচ্ছে। আসলে এই শ্মশান তৈরির সময়ই এমনটা পরিকল্পনা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই সাজানো হয়েছিল শ্মশান চত্বর। একইসঙ্গে শ্মশান লাগোয়া একটি ছোটদের পার্কও রয়েছে। সব মিলিয়ে রোজই এখানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, অন্য একটি কারণেও এই শ্মশান কিছুটা আলাদা। মৃতদেহ সৎকারের জন্য মাত্র এক টাকা দিতে হয় এখানে। সর্বসাধারণের কথা ভেবেই এমন মূল্য ঠিক করেছে শ্মশান কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে এ শশ্মান যেন শুধু বিষাদের স্থান হয়ে নেই, বরং হয়ে উঠেছে আনন্দের জায়গাই।