হর-কি-পৌরি ঘাটে হিন্দি গানের সঙ্গে উদ্দাম নেচে রিল ভিডিও করেছিলেন একদল যুবক যুবতী। আর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ঘটল বিপত্তি। তীর্থস্থানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে এহেন আচরণ, এই মর্মে সরব হিন্দুত্ববাদীরা। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক।
বলিউডি গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচে মেতেছেন একদল যুবক যুবতী। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ড অনুযায়ী করেছেন রিল ভিডিও-ও। তবে কোনও নাইটক্লাব বা পার্টিতে নয়, পুণ্যতীর্থ হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটেই এই রিল ভিডিওটি তৈরি করেছেন তাঁরা। আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনেকের দাবি, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এই ইস্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন হিন্দুত্ববাদীরা। ‘ধর্মনগরী’-র মর্যাদা নিয়ে খেলা করেছেন ওই যুবক যুবতীরা, এই মর্মেই আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, সরাসরি স্থানীয় থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন গঙ্গা সভার জেনারেল সেক্রেটারি তন্ময় বশিষ্ঠ। পুলিশ যাতে বিষয়টিতে দ্রুত পদক্ষেপ করে, সেই দাবিই জানিয়েছেন ভক্তরা।
আরও শুনুন: ধর্মের বাধা সরাল বিপর্যয়, বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানে মুসলিম পরিবারগুলিকে আশ্রয় দিচ্ছে মন্দির
হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান বলে মনে করা হয় হরিদ্বারকে। আর সেখানকার বিখ্যাত ঘাট হর-কি-পৌরিতে পুণ্যস্নানের জন্য জমায়েত হন অসংখ্য ভক্ত। এদিকে সেই ঘাটটিকেই রিল ভিডিওর জন্য নির্বাচন করেছিলেন ওই যুবক যুবতীরা। সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘বার বার দেখো’ সিনেমার ‘কালা চশমা’ গানটিকেই বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। আর সেই গানের সুরে নাচে যোগ দিয়েছিলেন সকলেই। আমির খান অভিনীত ‘রং দে বসন্তি’ সিনেমাতেও যেমন, ঘাটে বসেই হইহুল্লোড় গানবাজনায় মেতে উঠত কলেজপড়ুয়ারা। সেখানেও দেখা গিয়েছিল, এই আচরণকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না ধর্মীয় বাহিনী। খানিকটা সেই সুরেই যেন এক্ষেত্রেও ওই যুবক যুবতীদের আচরণের প্রতিবাদে গলা চড়িয়েছেন হিন্দুত্ববাদীরা। এমনকি তার আঁচ এসে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশও। সোশ্যাল মিডিয়াতেই ওই ভিডিওটি ভাগ করে এক ব্যক্তি দাবি জানিয়েছেন, মন্দির প্রাঙ্গণে ক্যামেরা এবং মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। সব মিলিয়ে, এই রিল ভিডিও ঘিরে উত্তরাখণ্ডে উসকে উঠেছে নয়া বিতর্ক।