নবীন লেখকদের বই প্রকাশে সাহায্য করবে গোয়ার রাজ্য সরকার। তবে তার জন্য মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম। নতুন বইয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না সরকারি নীতির সমালোচনা। ভাষার ক্ষেত্রেও থাকবে সীমাবদ্ধতা। সম্প্রতি নবীন লেখকদের জন্য প্রকল্প এনে এমনই ফরমান জারি করেছে সে রাজ্যের প্রশাসন। ঠিক কী বলা হয়েছে সেখানে? আসুন শুনে নিই।
নবীন লেখকদের উৎসাহ দেওয়াই লক্ষ্য। তার জন্য এক নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে গোয়া সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানকার ৬০ জন নবীন লেখককে বই প্রকাশ করতে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই বই লেখার ক্ষেত্রে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।
আরও শুনুন: ১৮ বছর পর্যন্ত নিরক্ষর, অদম্য মনের জোরে কেমব্রিজে অধ্যাপক হলেন ব্যক্তি
যুবকরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাঁদের হাত ধরেই উন্নতি হয় দেশের, রাজ্যের। তাই যুবকদের উন্নতির স্বার্থে একাধিক প্রকল্প নিয়ে আসে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার। সেই ধারা অনুসরণ করেই রাজ্যের নবীন লেখকদের জন্য এক প্রকল্পের ঘোষণা করেছে গোয়া সরকার। আপাতত ৬০ জন লেখককে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করেছে সে রাজ্যের সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নয়ি পাহাল’। প্রত্যেক যুবকের একটি করে নতুন বই প্রকাশে সাহায্য করবে এই প্রকল্প। তবে সেক্ষেত্রে তাঁদের মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। গোয়া রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নতুন বইয়ে কোনওভাবে সরকারের বা সরকারি প্রকল্পের সমালোচনা করা যাবে না। এমন কিছু লেখা যাবে না, যা জাতীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। নিষেধ রয়েছে জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কিছু লেখার ক্ষেত্রেও।
আরও শুনুন: যিনি মা, তিনিই ঠাকুমা! দৃষ্টান্ত গড়ে বউমার সন্তান গর্ভে ধারণ শাশুড়ির
সীমাবদ্ধতা রয়েছে ভাষার ক্ষেত্রেও। মোট ৪টি ভাষায় প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। যার মধ্যে ২৫টি বই লেখা হবে কোঙ্কনি ভাষায়, ২৫টি মারাঠি ভাষায় এবং ১০টি বই লেখা হবে হিন্দি ও সংস্কৃততে। মূলত কবিতা বা ননফিকশন গোত্রের লেখাই থাকবে বইগুলিতে। একইসঙ্গে থাকতে পারে আত্মজীবনী মূলক লেখাও। তবে এমন লেখা স্বীকৃতি পাবে না, যা সরকারকে বিব্রত করতে পারে। একদিকে নবীন লেখকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আনা এই প্রকল্প সাধুবাদের যোগ্য। তবে নবীন লেখকদের এই যে সীমাবদ্ধতার মধ্যে আটকে রাখা, তা কি আদৌ সাহিত্যেচর্চার ক্ষেত্রে শুভ লক্ষন। এই প্রকল্প ঘিরে সে প্রশ্ন অবশ্য থেকেই গেল।