বোরখা পরার কারণে কলেজে ঢুকতে বাধা মুসলিম ছাত্রীদের। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় ফের উসকে উঠল বিতর্ক। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মুসলিম ছাত্রীরা কলেজে বোরখা পরতে পারবে কি না, এই ইস্যুতে ঘনিয়ে উঠল বিতর্ক। কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের পর এবার বোরখা বিতর্কের কেন্দ্র যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সে রাজ্যের মোরাদাবাদ এলাকার হিন্দু কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে মুসলিম ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, বোরখা পরে কলেজে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত কলেজের দরজায় দাঁড়িয়ে বোরখা খুলে ফেলার পর তারা কলেজে প্রবেশ করতে পারে, এমনটাই দাবি ওই ছাত্রীদের। পালটা কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজের নির্দিষ্ট পোশাকবিধি অনুযায়ী কলেজ চত্বরে বোরখা নিষিদ্ধ। তা জেনেও বোরখা পরে কলেজে ঢুকতে চেয়ে কার্যত নিয়ম অমান্য করেছে ওই ছাত্রীরা। পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকবিধি না মানলে কলেজে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না বলে সাফ জানিয়েছেন ওই কলেজের অধ্যাপক ডঃ এ পি সিং।
আরও শুনুন: দল বদল করা বিধায়কদের ‘যৌনকর্মী’-র সঙ্গে তুলনা, বিতর্ক উসকে মন্তব্য কংগ্রেস নেতার
এই ইস্যুতে ওই ছাত্রী এবং সমাজবাদী ছাত্রসভার কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের বিধি মানার ক্ষেত্রে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন অনেক অধ্যাপকও। সব মিলিয়ে বিতর্কের জেরে সরগরম হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। আর সেই পরিস্থিতির একটি ভিডিও-ই সম্প্রতি সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে। জানা গিয়েছে, বোরখাকেও কলেজের বেঁধে দেওয়া পোশাকবিধির অন্তর্ভুক্ত করা হোক, এই মর্মে কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছে সমাজবাদী ছাত্রসভা।
আরও শুনুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যান, মুসলিম তরুণীকে ৩৫ টুকরো করে কাটার হুমকি হিন্দু যুবকের
এর আগেও কর্ণাটকের উদুপি জেলার একটি কলেজে হিজাব পরে আসা পড়ুয়াদের ক্লাস করতে বাধা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিতর্কের জল গড়ায় হাইকোর্ট ছাড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা মুসলিম মহিলাদের জন্য অপরিহার্য নয়, এবং তা মৌলিক অধিকারের মধ্যেও পড়ে না- সেই বিতর্কের প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। এই মামলায় একমত হতে পারেনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চও। এবার সেই একই ইস্যুতে ফের জলঘোলা শুরু হল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে।