থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় দেখা গিয়েছিল, সন্তান প্রসবের ভিডিও দেখে এক অন্তঃসত্ত্বাকে প্রসব করানোর দৃশ্য। একইভাবে ইউটিউবে ভিডিও দেখেই নিজের সন্তানকে জন্ম দিয়েছিল এক কিশোরী। কিন্তু ঘটনার শেষে পরিণতি হয়েছে মর্মান্তিক। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সে যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, এ কথা ভয়ে কাউকেই জানাতে পারেনি কিশোরী। তাই সন্তানকে প্রসব করানোর ভার নিজের হাতেই তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল ১৫ বছর বয়সি মেয়েটি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে সফলভাবেই প্রসব করেছিল সে। কিন্তু লোক জানাজানি হওয়ার আশঙ্কা থেকে এরপরে সদ্যোজাতকে নিজের হাতেই শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ওই নাবালিকা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। মহারাষ্ট্রের এই মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে সে রাজ্যের পুলিশ।
আরও শুনুন: মাতৃগর্ভেই শিশুকে শোনাতে হবে গীতা-রামায়ণ, ‘গর্ভ সংস্কার’ প্রকল্প শুরু আরএসএস-এর শাখার
জানা গিয়েছে, নাগপুরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা আসলে যৌন হেনস্তার শিকার। সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কিশোরীর। সেই আলাপ থেকেই দুজনের দেখাশোনা শুরু। কিন্তু তার জেরেই বিপাকে পড়ে নাবালিকা। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। কিন্তু ভয়ে সে কথা বাড়িতেও কাউকে বলেনি ওই কিশোরী। পুলিশ সূত্রে খবর, তার কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে এমনটা জানিয়ে বেবি বাম্প লুকিয়ে গিয়েছিল সে। এদিকে প্রসবের সময় এগিয়ে আসে। হাসপাতালে ভরতি না হয়ে বাড়িতে কীভাবে প্রসব করা যেতে পারে, তারই উপায় খুঁজছিল নাবালিকা। শেষমেশ ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাড়িতেই গোপনে সন্তানের জন্ম দেয় সে। আর তারপর সদ্যোজাতকে হত্যা করে তার দেহ লুকিয়ে ফেলে নিজের ঘরে একটি বাক্সের ভিতর।
আরও শুনুন: সম্প্রীতির বার্তা দেওয়াই লক্ষ্য, হিন্দু মন্দিরে বিয়ে সারলেন মুসলিম যুগল
যদিও শেষে জানাজানি হয়ে গিয়েছে পুরো ঘটনাই। ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মামলা দায়ের হতে পারে কিশোরীর নামে। আপাতত শিশু সুরক্ষা ও পক্সো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।