ভেগান মতে জীবনযাপন করেন প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। বাকিদের উৎসাহ যোগান তাঁর পথের সঙ্গী হওয়ার। সম্প্রতি এই কারণে পুরস্কৃত হয়েছেন চন্দ্রচূড়। তারপরই ভেগান প্রসঙ্গে সংবিধান থেকে যুক্তি দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। কী বললেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
খাবারের তালিকায় থাকবে না কোনও আমিষ দ্রব্য। শুধু মাছ মাংস নয়, প্রাণীর দেহ থেকে প্রাপ্ত কোনওকিছু খাওয়া চলবে না। কেউ কেউ চামড়ার তৈরি জিনিস ব্যবহারেও আপত্তি জানান। জীবনযাপনের এই বিশেষ ধরনকেই বলা হয়, ‘ভেগান’। আর সেই প্রসঙ্গ নাকি উল্লেখ করা আছে সংবিধানে! সম্প্রতি প্রাক্তন বিচারপতির মন্তব্যে মিলল সেই আভাস। সরাসরি না বললেও, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন সংবিধানেও লেখা আছে অহিংসার কথা।
আরও শুনুন:
দুনিয়া দেখার চোখ বদলে দিয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম দুই কন্যাই, মানলেন চন্দ্রচূড়
খেলোয়াড় থেকে অভিনেতা, ‘ভেগান’ মতে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক নামকরা ব্যক্তিত্ব। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সম্প্রতি নিজের ভেগান যাপনের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। আসলে, স্রেফ নিজে এই মতে চলা নয়, অন্যদেরও এই পথে আসার অনুপ্রেরণা যোগাতেন তিনি। সেই সুবাদেই পুরস্কার জুটেছে। বিশ্বব্যাপী এই ভেগান যাপনে সকলকে উৎসাহ যোগায় ‘পেটা’ নামে এক সংস্থা। তাদের ভারতীয় শাখা এই পুরস্কার দিয়েছে চন্দ্রচূড়কে। কেন এই পথ বেছে নিয়েছেন তা আগেই জানিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়। বলেন, তাঁর দুই মেয়ে বুঝিয়েছে জীবনযাপনে নিষ্ঠুরতা ত্যাগ করার কথা। তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই ভেগান মতে জীবনযাপন করেন চন্দ্রচূড় এবং তাঁর স্ত্রী কল্পনা। নিরামিষ খাওয়ার পাশাপাশি তিনি বা তার স্ত্রী কেউই সিল্ক বা চামড়ার পণ্য কেনেন না, যেহেতু সেখানে কোনও না কোনও প্রাণীর ক্ষতি জড়িয়ে আছে। এবার এর নেপথ্যে সংবিধানের কথাও উল্লেখ করলেন প্রাক্তন বিচারপতি।
তাঁর কথায়, সংবিধানের ৫১এ(জি) ধারায় নাগরিকদের কর্তব্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যে কোনও প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা। ভেগান যাপনের অন্যতমও শর্তও তাই। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন বিচারপতির স্ত্রী কল্পনার গলাতেও। কাউকে কষ্ট দিতে নারাজ তিনি, সেই কারনেই এমন জীবন বেছে নিয়েছেন। আরও অনেকে তাঁদের দলে নাম লেখান, এমনটাই চাইছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও তাঁর স্ত্রী। তবে জোর করে কারও খাদ্যাভ্যাস বদলানো যায় না, তাঁরা স্রেফ অনুরোধের সুরে ভেগান যাপনের সুফল তুলে ধরছেন সকলের সামনে।