নির্বাচন জিততে কালাযাদু করছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন কর্নাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। যদিও তাঁর দাবিতে একেবারেই আমল দিতে চাননি দক্ষিণের ব্রাহ্মণরা। ঠিক কী ঘটেছে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
গণতন্ত্রের উৎসব। কিন্তু আসলে ক্ষমতা দখলের লড়াই। নির্বাচন জিততে যাই করতে হোক, আপত্তি নেই নেতাদের। কমিশন অবশ্য একাধিক নিয়ম তৈরি করে রেখেছে। অমান্য করলেই শাস্তি। তবু ভয় নেই। ভোটের আগে দেদার ছুটছে অপশব্দের গুলি। শুধু তাই নয়, বিপক্ষকে হারাতে না অসৎ পন্থার সাহায্যও নিচ্ছে কিছু নেতা।
আরও শুনুন: আসন না হোক, বিভাজন-মন্তব্যে ৪০০ পার মোদির! হিসেব তুলে দাবি খাড়গের
সম্প্রতি এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যম্নত্রী তথা দাপুটে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। তাঁর দাবি, নির্বাচন জিততে বিরোধীরা কালাযাদু করছে। এমনিতে এসবের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে খবরের জগতে কালাযাদুর সঙ্গে অপরাধ যোগের ঘটনা হামেশাই খুঁজে পাওয়া যায়। মাঝেমধ্যেই দেখা যায় তন্ত্রসাধনার নাম করে ধর্ষণ কিংবা খুন অবধি করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের অপরাধকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা চালান তাঁরা। তবে তদন্তে নেমেই দেখা যায়, আদপে এঁরা ভন্ড। সত্যিকারের প্রকৃত জ্ঞানী ধার্মিক কখনও এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। সম্প্রতি শিবকুমারের নিশানাতেও সেই দিকেই। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁর দলকে হারানোর জন্য বিশেষ এক যজ্ঞ করেছে। শুধু তাই নয়, দেওয়া হয়েছে বিশেষ বলিও। শিবের দাবি, এই যজ্ঞ কালাযাদুর সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সঙ্গে ‘অঘোর’ পন্থীদের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। কর্নাটকের বিখ্যাত এক মন্দিরে এইসব করা হয়েছে বলেই দাবি শিবকুমারের। চলতি নির্বাচনে এই যজ্ঞের বলেই বিরোধীরা অনায়াসে হারিয়ে দিতে পারেন বলে দাবি শিবকুমারের। তাই নিজের দল এববং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইইয়ার জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এইসব খবর কোনও শুভানুধ্যায়ীর কাছ থেকে পেয়েছে বলেও দাবি করেন শিবকুমার। ভরা সভায় কালাযাদূর একেবারে বিশদ বর্নণা করে বিরোধীদের তোপ দেগেছেন তিনি।
আরও শুনুন:
গান্ধীদের সঙ্গে কি শুধুই শত্রুতা! নাকি ফোনে কথা-টথাও হয়? খোলসা করলেন মোদি
কিন্তু এমনটা কী সত্যিই হওয়া সম্ভব?
কর্নাটকের ব্রাহ্মণদের মতে, একেবারেই নয়। শিবকুমারের দাবির পালটা যুক্তি দিয়ে তাঁরা বলছেন, হিন্দু ধর্মে এসবের অস্তিত্বই নেই। সরাসরি এই দাবিকে অপবাদ বলেই দাগিয়েছেন ব্রাহ্মণরা। তাঁদের কথায়, শিবকুমার রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের মন্তব্য করছেন। বাস্তবে এমন কিছুই হতে পারে না। সুতরাং শিবকুমারের এই মন্তব্যে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন কর্নাটকের ব্রাহ্মণরা।